সকালের কুমিল্লা ডেস্ক।।
নগরীর ঝাউতলা এলাকায় অবস্থিত মা ও শিশু স্পেশালাইজড হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব তত্ত্ববধানে পরিচালিত ফার্মেসীতে নির্ধারিত মুল্যের অতিরিক্ত দামে ঔষধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রতিনিয়তই সাধারন রোগীরা বেশী টাকায় ঔষধ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, নগরীর ঝাউতলা এলাকায় সিভিক স্কয়ার নামের একটি ভবনে চালু থাকা মা ও শিশু স্পেশালাইজড হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে একটি ফার্মেসী। সেখানে বাজারে বিক্রিত ঔষধের মুল্যের অতিরিক্ত মুল্যে ঔষধ বিক্রি করছে সাধারন রোগীদের কাছে। সম্প্রতি ওই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ইশতিয়াক আহমেদ নামের এক রোগী এমনইভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোগীর স্বজনরা জানান, কয়েকদিন আগে ইশতিয়াক অসুস্থ্য হলে তাকে ওই হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এসময় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের নিজস্ব ফার্মেসী থেকে ঔষধ ক্রয় করে একপর্যায়ে বাড়িতে ফিরে যায়। পরবর্তীতে আবারো রোগী অসুস্থ হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য এক শিশু রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে। সেখানে চিকিৎসক মা ও শিশু স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসকের দেওয়া ঔষধের সাথে আরো কিছু নতুন ঔষধ রোগীর চিকিৎসা পত্রে উল্লেখ করে। এসময় রোগীর অভিভাবক স্থানীয় ঔষধের দোকানে ঔষধ ক্রয় করতে গিয়ে দেখে পূর্বে মা ও শিশু স্পেশালাইজড হাসপাতালের দোকান থেকে ক্রয় করা ঔষধের চেয়ে বর্তমানে কেনা ঔষধের মুল্যের ফারাক অনেক। ভূক্তভোগী রোগীর স্বজনরা আরো জানান, মা ও শিশু স্পেশালাইজড হাসপাতালের দোকানে যে ক্যানুলার দাম রেখেছে ১৫০ টাকা নগরীর অন্যান্য ঔষধ দোকানে সেটা মাত্র ৭০ টাকা , মাইক্রোবোর সেট রেখেছিল ৫৫০ টাকা বাজারে যেটা ২’শ টাকা, ১২০ টাকার নিশিবান রেখেছিল ২’শ টাকা, ৫৫ টাকার এন্টারো জার্মিনা রেখেছিল ২’শ টাকা। এ অবস্থায় রোগীর স্বজনরা বলেন, আমাদের হয়তো অর্থ সংকট নেই,কিন্তু প্রতিদিন অসংখ্য রোগী এখানে আসে চিকিৎসা সেবা নিতে। তারা অতিরিক্ত মুল্যে ঔষধ ক্রয় করে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিষয়টি জানতে চাইলে মা ও শিশু স্পেশালাইজড হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর বদিউল আলম বলেন,কোন কোন ঔষধ বাজারে সরবরাহ কম থাকলে অতিরিক্ত মুল্যে ক্রয় করি এবং অতিরিক্ত মুল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। এছাড়া ভালো কোম্পানীর ঔষধের মুল্যের দাম বেশী হওয়ায় আমরাও বেশী নিতে বাধ্য হই। তিনি আরো বলেন, একই ঔষধ বিভিন্ন কোম্পানী উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। তাদের মুল্যমানেও পার্থক্য আছে। আমি ভালো কোম্পানীর বেশী দামের ঔষধই রোগীদের সরবরাহ করি। কুমিল্লার বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের নিজস্ব ফার্মেসীতে অতিরিক্ত মুল্যে ঔষধের দাম রাখার বিষয়টি বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, যদি কোন ফার্মেসী গায়ে লেখা মুল্যের চেয়ে অতিরিক্ত টাকায় ঔষধ বিক্রি করে আর এটা কোন রোগী প্রমানপত্রসহ লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আমরা অবশ্যই এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কুমিল্লা সিভিল সার্জন নিয়ামুতুজ্জামান বলেন, বিষয়টি দেখভালোর দায়িত্ব সম্পূর্ণ ঔষধ প্রশাসনের । এছাড়াও রোগীদেরও এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। যে মুল্য ঔষধের প্যাকেটে লেখা আছে তার চেয়ে কেনইবা অতিরিক্ত মুল্য দিবে।