সুজন মজুমদার,বরুড়া ।।
গত সোমবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরবেলা কুমিল্লার বরুড়ায় আলোচিত তানজিদ সফি অন্তরের ছোট বোন নাফসি জাহানকে দেখতে বাসায় গেলেন বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস মিয়া, আড্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাফসি জাহানের চাচা সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মিহির, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ছাত্রনেতা ফয়সাল তালুকদার এবং ফেয়ার হসপিটালের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন। এর মধ্যে দিয়ে ডা:মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ফেয়ার হসপিটালের সাথে নাফসি জাহানের পরিবারের ভূল বুঝাবুঝি ও মান অভিমানের অবসান হলো।
উল্লেখ, গত বছর (২০২০ সাল) রোগীর পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করে দেওয়ার অভিযোগে বরুড়া ফেয়ার হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন ও ডা. মো. রাশেদ-উজ-জামান রাজিব এর বিরুদ্ধে মামলা হয়। গতবছর ০৯ আগষ্ট (রবিবার) কুমিল্লার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন রোগীর ভাই তানজিদ সাফি অন্তর।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পরবর্তিতে পিবিআই দল মাঠে নামে। পিবিআই কর্মকর্তা মতিউর রহমান তদন্ত সারমর্মে উল্লেখ করেন, প্রাপ্ত স্বাক্ষ্য প্রমাণে বাদীর মনোনীত, নিরপেক্ষ ঘটনার বিষয়ে স্বাক্ষীগণের জিজ্ঞাসাবাদ, বিশেষজ্ঞদের মতামত ও পর্যালোচনায় বাদীর আনিত অভিযোগে কোন সত্যতা মিলে নাই। গতবছর ডিসেম্বর মাসে এমন রিপোর্ট উপস্থাপন করে পিবিআই।
তারপর দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমাধানের শ্রেষ্ঠা চালিয়ে যায় বরুড়ার বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বরুড়া ফেয়ার হসপিটালের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, নাফসি জাহানের পরিবারের ভূল বুঝাবুঝি ও মান অভিমানের অবসান হওয়াতে বরুড়ার বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আনন্দিত। সেই সাথে নাফজি জাহানের সুসাস্থ্য ও আরোগ্য লাভের কামনা করে।