এ আর আহমেদ হোসাইন, দেবিদ্বার।।
গত ৯ ফেব্রুয়ারী বুড়িচং উপজেলার হালগাঁও গ্রামে স্ত্রী ও শ্বাশুড়ীকে জবাই করে হত্যার পর কুমিল্লা মুরাদনগর ১৬ নং দামঘর ইউনিয়ের পরমতাল গ্রামে শনিবার রাতে নিজ স্ত্রী আখিঁ আক্তারকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সৃত্রে জানা যায় পরমতলা গ্রামের পূর্বপাড়া মুক্ত ব্যাপারির বাড়ির মৃত:মনু মিয়ার দ্বিতীয় মেয়ে আখিঁ আক্তার(৩০)কে তার স্বামী সুমন মিয়া (৩৮) নিজ স্ত্রী আখিঁ আক্তারকে পারিবারিক কলহের জের ধরে শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে আট টায় এলোপাথারী কুপিয়ে ঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
হত্যাকারী দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার গ্রামের শরীফ মিয়ার ছেলে।
জানা যায়,১০ বছর আগে আখি আক্তারের সাথে সুমন মিয়ার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হলেও সুমন তার শ্বশুর বাড়ীতে বসবাস করত। সুমনের মাদক সেবনের বিষয় নিয়ে তাদের সংসারে প্রতিনিয়ত ঝগড়া বিবাদ
লেগেই থাকতো।শনিবার রাতে নেশা করার জন্য টাকা না দেয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুমন মিয়া একটি ধারালো বটি দা নিয়ে আখি’র ঘাড়ে ও পেটে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। আখির আর্ত-চিৎকারে
স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দেবীদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে কুমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার সময় আখির মৃত্যু হয়।তাদের সংসারে তার ২ ছোট মেয়ে, জান্নাত, সোহাগী ও বড় ছেলে সোহাগ মাকে হারিয়ে এবং বাবা কারাগারে যাওয়ায় বড় অসহায় তিন সন্তানেরা।
স্থানীয় মেম্বার মোঃ আবিদ আলী বলেন- হত্যাকারী সুমন দীর্ঘ দিন ধরে শ্বশুর মনু মিয়ার বাড়ি থেকেই জীবন- যাপন করে আসছিলো,পেশায় সে রাজ-মেস্ত্রুরীর কাজ করতো। শনিবার রাতে ঘরে থাকা তার শ্বাশুড়ীকে ঔষদের কথা বলে দোকানে পাঠিয়ে ওই ঘটনা ঘটায়।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, নিহতের লাশ কুমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার ঘটনায় ঘাতক সুমনকে দেবীদ্বার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।