এন.সি জুয়েল।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে সাদাত জুট ইন্ডাস্ট্রিজের শ্রমিক ইউনিয়ন (ওয়ার্কাস এন্ড এমপ্লোয়ীজ ইউনিয়ন রেজি: নং চট্র - ১৫৫৯) এর কার্যকরী পরিষদের দ্বি - বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজীৎ ভৌমিক ভুলো নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) রাত ১০ টায় ভোট গণনা শেষে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সাদাত জুট ইন্ডাস্ট্রিজের অফিসার ক্লাব ভবনের দ্বিতীয় তলায় দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রমিক ইউনিয়নের এক হাজার ৯ শত ১৬ জন ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৬ শত ৮৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।দেবিদ্বারে সাদাত জুট ইন্ডাস্ট্রিজের শ্রমিক ইউনিয়নের ২০২১ সালের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ১৫ টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন শ্রমিক ইউনিয়নের ৩০ জন প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নির্বাচন কমিশনার মোঃ কামরুজ্জামান।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী মোঃ নুরুল ইসলাম ১২১৩ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। এ পদে আরও একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তিনি হলেন মোঃ আকুল ইসলাম ৪১০ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে ইন্দ্রজীৎ ভৌমিক ভুলো ১৩২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। বিজয়ী প্রার্থী ছাড়াও এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোঃ আনোয়ার হোসেন তিনি ৩২৫ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া নির্বাচনে মোঃ সোহেল মিয়া ১২৪৯ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হন।এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোঃ হারুনর রশিদ তিনি ৩১৪ ভোট পেয়েছেন। মোঃ নজরুল ইসলাম ৯১৩ ভোট পেয়ে সহ- সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোঃ মনির হোসেন তিনি ৬৫৯ ভোট পেয়েছেন।আব্দুল হালিম (আবদুল্লা) ১৩৭০ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোস্তফা কামাল তিনি ২১৫ ভোট পেয়েছেন। গোলাম মোস্তফা ১৪২৫ ভোট পেয়ে প্রচার সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোঃ কাজী নাসির তিনি ১৮০ ভোট পেয়েছেন। মোঃ মোশাররফ হোসেন ১১৯৯ ভোট পেয়ে ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোঃ খলিলুর রহমান তিনি ৩৪৮ ভোট পেয়েছেন।মোঃ মোসলে উদ্দিন ৭৩৮ ভোট পেয়ে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আরও দুই জন।তারা হলেন শফিকুর রহমান তিনি ৬৫৫ ভোট পেয়েছেন অন্যজন মোঃ ইব্রাহিম খলিল তিনি ১৩৪ ভোট পেয়েছেন। মোঃ মনিরুল হক ১২৬২ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোঃ কাজী জামাল তিনি ৩১২ ভোট পেয়েছেন।মোঃ বাবুল হোসেন ৩৩৬ ভোট পেয়ে পালা - ক সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন।তিনি ছাড়াও ৩৪০ ভোট পেয়ে আসাদুল্লা পালা -ক সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তারা হলেন মোঃ আব্দুল লতিফ তিনি ১৬৪ ভোট পেয়েছেন,মোঃ রাতুল ইসলাম তিনি ৫০ ভোট পেয়েছেন, মোঃ মিজানুর রহমান তিনি ৩৯ ভোট পেয়েছেন।বিল্লাল হোসেন ২৭৪ ভোট পেয়ে পালা-খ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ছাড়াও মোঃ আনোয়ার ২৬১ ভোট পেয়ে পালা-খ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে আরও একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি হলেন মোঃ কাজী রবিউল তিনি ২৬১ ভোট পেয়েছেন। মোঃ ইউনুছ মিয়া ৩৮১ ভোট পেয়ে পালা -গ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ছাড়াও মোঃ মোস্তফা ৩৮০ ভোট পেয়ে পালা-গ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে আরও একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি হলেন মোঃ জাহিদ আলম তিনি ৮৮ ভোট পেয়েছেন।