কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় একই রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাতে জিংলাতুলি ইউনিয়নে এ ডাকাতির ঘটনায় প্রায় ১২লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাত দল।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জিংলাতুলি ইউনিয়নের ছান্দ্রা, বানিয়াপাড়া ও বিটিচারপাড়া গ্রামে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটা থেকে তিনটার দিকে মুখোশ পরিহিত সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দল হানা দেয়। বানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত জোফর আলীর ছেলে দুবাই প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির কলাপসিপল গেইটের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ডাকাত দল। এ সময় ঘরের লোকজনদের মারধর করে বেঁধে ফেলে।
তার স্ত্রী সুরাইয়া বেগম বলেন, ডাকাতরা ঘরে ঢুকেই বলে আমরা পুলিশের লোক। তারপর গলায় বড় ছুরি (রামদা) ধরে আমাদের হাত পা বেধে ফেলে৷ প্রতিটি রুমের দরজা ভেঙ্গে সব খাট আলমারী তছনছ করে ফেলে। ঘরে থাকা নগদ ৮০ হাজার টাকা এবং স্বর্নাংকার যা পাঁচ ভরির বেশি হবে ডাকাতরা নিয়ে গেছে। একই সময় ভিটিচারপাড়া গ্রামের মৃত ছামেদ মিয়ার ঘরে হানা দেয় ডাকাত দল।
ছামেদ মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম বলেন, আমার স্বামী নাই, এক ছেলে বিদেশে, আরেক ছেলে ঢাকায় চাকরী করে। রাতে কিভাবে গেইট খুলছে বলতে পারবো না। ছোট বউয়ের চিৎকার শুনে আমি রুম থেকে বের হতেই চার জন আমাকে ধরে হাত পিছনে নিয়ে বেধে রাখে। চিৎকার করতে চাইলে গলায় ছুরি ধরে চাবি চাইলে আমি দিয়ে দেই। তারা আমার পাঁচ হাজার ও স্বামীর সৃতি স্বর্নের ৬ভরি ওজনের লকেটসহ চেইন, কানের দুল, হাতের বালা এবং বউয়ের রুম থেকে দশ হাজার টাকা স্বর্ণের চেইন ও আংটি নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় তারা বড় একটি ছুরি ফেলে গেছে ডাকাতরা। ছান্দ্রা গ্রামের কাতার প্রবাসী কামরুজ্জামান লিটনের বাড়িতে হানা দেয় ডাকাত দল। গৃহকর্মী হোসনেয়ারা জানান রাত আড়াইটা তিনটা হবে এমন সময় গেইটের আওয়াজ শুনে বের হতেই কালো মাস্ক পড়া ৭/৮জন আমাকে ঘিরে ধরে। গত বছর থেকে করোনার কারনে আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় চারটি মোবাইল সেট ছাড়া কিছুই পায়নি। সেটগুলো তারা নিয়ে গেছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের অফিসার পাঠিয়েছি।