মোঃ মাসুম বিল্লাহ,তিতাস।।
কুমিল্লা তিতাসের উত্তর বলরামপুর গ্রামের হোসনেয়ারা ও রুপালী আক্তার নামের মা-মেয়ের অসামাজিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি।
গতকাল(১৬-০৪-২০২১)ইং শুক্রবার উত্তর বলরামপুর এতিমখানা ও মাদ্রাসা সংলগ্ন আব্দুল বাতেন সওদাগর এর বাড়ির সামনের বলরামপুর-বাতাকান্দি সড়কে ওই মানববন্ধন করেছেন উত্তর বলরামপুর গ্রামবাসি।বেলা ১১ টায় শুরু হওয়া মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে সেখানে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন সমাজসেবক, শিক্ষক সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
গ্রামবাসিকে অভিযুক্ত করে একটি ভিডিও রের্কড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন গ্রামবাসি।
বলরামপুর গ্রামের মৃত কাদিরের স্ত্রী হোসনে আরা ও তার মেয়ে রুপালীকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে একই গ্রামের মামুন মেম্বার, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান প্রলয় ও বিএনপি নেতা হান্নান সওদাগর। এমন অভিযোগের কয়েকটা ভিডিও রের্কড ভাইরাল হয়।
উল্লেখিত ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান প্রলয়, মামুন মেম্বার ও বিএনপি নেতা হান্নান সওদাগর।
তারা বলেন, হোসনে আরা ও তার মেয়ে দু'জনই খারাপ মহিলা। এলাকাবাসি এই পর্যন্ত ৮-১০ বার তাদের বিচার করেছে। মহিলাটি সর্বশেষ গত ৭ তারিখ আল আমিন নামে এক লোকের সাথে অসামাজিক কাজের সাথে হাতে নাতে ধরা খায়। শেষবারের মত ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য আকুতি মিনতি করে। আমরা গ্রামের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে, মুরব্বিদের সাথে কথা বলে তাকে ক্ষমা করে দেই এবং প্রতিকারের জন্য গণস্বাক্ষর নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ নূর নবীর স্মরনাপন্ন হই।তৎক্ষনাৎ তিনি ইউএনও ও ওসিকে বিষয়টি অবহিত করে ব্যবস্হা গ্রহনের অনুরোধ করেন যাতে ভবিষ্যতে আর এই ধরনের কাজ না করেন।
কিন্তু এ মহিলা চেয়ারম্যানের কাছে না গিয়ে কিছু কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় আমাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করার পায়তারা করছে এবং সাংবাদিকদের নিকট অসত্য বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত গাজীপুর আজীজীয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মিজানুর রহমান মাষ্টার বলেন, এ মহিলা ও তার মেয়ে বলরামপুর গ্রামের কলংক। তারা এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। তাদের অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে অসংখ্যবার তাদের বিচার করা হয়েছে। প্রতিবারই তারা বলে এটাই শেষ, শেষবারের মতো ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে গেছে।এই মা -মেয়ে এখন তাদের অপকর্মের বাধাদানকারী গ্রামের সম্মানিত ব্যক্তিদের ফাঁসাতে চাচ্ছে।আমি এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।
এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন,হোসনে আরা ও রুপালীর ঘটনা যেন চুরির উপর সিনাজুরীর মত।তাদের অপকর্মের কথা জানেনা এই সমাজে এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।কিছুদিন আগেও এক হিন্দু ছেলের সাথে সে ধরা পরে।এপর্যন্ত ১০-১২ বার বিচার সালিশ হয়েছে, প্রতিবার গ্রামবাসির সামনে আর খারাপ কাজ করবেনা বলে লিখিত দিয়ে ছাড়া পেয়েছে, এখন তারাই পুরা গ্রামবাসিকে ফাঁসাতে চাচ্ছে।আমরা এর বিচার চাই,প্রতিকার চাই।অনতিবিলম্বে বিচার না হলে আমরা বড় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে রুপালীর মোবাইলে কল করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।