নওগাঁর মহাদেবপুরে রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বৃদ্ধা মর্জিনা বেগমকে (৮০) উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছে থানা পুলিশ। দুই বছর আগে নিখোঁজ হওয়া ওই বৃদ্ধাকে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে রাজশাহী জেলার পবা থানার হাটপারিলা গ্রামে বৃদ্ধার বাড়িতে ছেলে মজিবর এবং তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।
মর্জিনা বেগমের পরিবার জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর পর তাদের মাকে ফিরে পেয়েছেন। তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন মহাদেবপুর থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল রাত ১০টা ২১ মিনিটের দিকে ‘জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯’ থেকে ফোনে জানানো হয় উপজেলা সুজাইল রাস্তার পাশে এক বয়োবৃদ্ধ নারী অভুক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। তার বয়স প্রায় ৯৫ থেকে ১০০ বছর হবে। ফোন পাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে মহাদেবপুর থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় বয়োবৃদ্ধ নারীকে উদ্ধার করে। সেখানে তার জন্য পানীয় এবং আহারের ব্যবস্থা করা হয়।
তিনি শারীরিকভাবে এতোই দুর্বল ছিলেন যে, কথাও ছিল অস্পষ্ট। নিজের নাম-পরিচয় ও ঠিকানা ঠিকমতো বলতে পারছিলেন না। তাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়।
মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন বলেন, বৃদ্ধা মর্জিনা বেগমের চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি ছড়িয়ে দিয়ে পরিচয় জানার জন্য চেষ্টা করি। অবশেষে তার সঠিক পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়। পরে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়ার নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে রাজশাহীর পবা থানা পুলিশ হাটপারিলা গ্রামে বৃদ্ধার বাড়িতে উপস্থিত হয়। তার ছেলে মজিবর এবং তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।
বৃদ্ধার পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, প্রায় দুই বছর আগে মর্জিনা বেগম তার ছেলে মজিবরের সঙ্গে বসবাস করাকালীন নিখোঁজ হন। মর্জিনার তিন মেয়ে ও এক ছেলে। দুই বছর যাবত ছেলেমেয়েরা তাদের মাকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পাননি। মাকে না পাওয়ার পর তারা আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। মর্জিনা বেগমকে দুই বছর পর ফিরে পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
(সূত্র যুগান্তর)