মো.শাহ আলম,বরুড়া।।
ইদানীং বরুড়ায় মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। গত কয়েক মাসে বরুড়া পৌর এলাকায় কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
১) মোঃ আমজাদ হোসেন, পিতা তাজুল ইসলাম, বরুড়া সরকারি হাতপাতাল রোড়ের নিজ বাসার সামনে হতে তার মোটরসাইকেলটি গত ২০মে চুরি করে নিয়ে যায়। চুরের মুখে মাস্ক থাকার কারণে সি সি ক্যামেরার ফুটেজেও চোরকে সনাক্ত করা যায়নি। এ ব্যাপারে বরুড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে তিনি জানান।
২) গত ২৪মে বরুড়া ফেন্ডস ফোরামের সদস্য কসামি গ্রামের ওমর ফারুক এর মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়।
৩) রাজাপুর এইড কমিউনিটি সংগঠনের উপদেষ্টা আবুল কালাম মেম্বার এর মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়।
৪) মোঃ মোশাররফ হোসেন, পিতা আবদুল মালেক, দেওড়া যিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে হাতুড়ি মার্কায় নির্বাচন করেছিলেন। গত চার মাস আগে বরুড়া পশ্চিম বাজার হতে তাঁর মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়।
৫) বরুড়া ব্লাড ব্যাংক এর সভাপতি, পৌর এলাকার কসামি গ্রামের মোঃ সজীব হোসেন এর মোটর সাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়।
৬) অল্প কিছু দিন আগে শুশুন্ডার ওয়াদুদ এর মোটরসাইকেলটি বরুড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনের থেকে চুরি করে নিয়ে যায়।
এতে বোঝা যাচ্ছে, বরুড়ায় এটি সঙ্গবদ্ধ মোটরসাইকেল চোরের দল রয়েছে। বরুড়ার পৌরসভার মাত্র ১.৫ কিলোমিটার সীমানার মধ্যেই এই মোটরসাইকেল গুলো চুরি হয়। এখন পর্যন্ত সব চোরই ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে।
জনগণের সচেতনতা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ই একমাত্র বরুড়ায় মোটরসাইকেল চুরি বন্ধ হতে পারে।
ছবিতে আমজাদ হোসেন ও মোশাররফ হোসেনের মোটরসাইকেল চুরির ভিডিও ফুটেজের স্ক্রিনশট দেওয়া হল।