মোঃ শাহ আলম,বরুড়া।।
বাজারে রওনা হতেই মেয়েটা বলল আব্বু আমার জন্য আম আনবে। বাজারে গিয়ে পেয়েও গেলাম মাঝারি সাইজের দেশি গাছ পাকা আম।
বিক্রেতা বললেন স্যার নিতে পারেন গ্যারান্টি করা, একদম পাকা, মিষ্টি নিজের গাছের আম। প্রয়োজনে খেয়ে নিবেন।
একটি আম হাতে নিয়ে টেস্ট করতে যাব এমন সময় বললেন স্যার এখান থেকে না, আমি একটি আম আলাদা করে রেখেছি ওইটা খেয়ে দেখেন এগুলোতো আমার মাপা আম।
বিক্রেতার আম বেচার কৌশল আমাকে সত্যিই অভিভূত করছে।
তার দেওয়া আমের আংশিক মুখে দিয়ে দেখলাম সত্যিই স্বাদে গন্ধে ভরপুর, তাই নিয়ে নিলাম দুই কেজি।
কিন্তু বাড়িতে এনে খেতে বসে দেখলাম প্রায় সবগুলোই টক।
আমার মেয়েটা বললো মানুষে দেখে কি এমন আম কিনে? তার কথায় আমি যেন জগতের বোকা হয়ে গেলাম।
তারপরও বললাম আরে আমি তো খেয়ে মিষ্টি দেখেই এনেছি, এখন এগুলো টক হলো কিভাবে?
ভাবনায় পড়ে গেলাম, তার পরে বুঝলাম বিক্রেতা যে আমটি আমাকে খেতে দিয়েছিল সেটি মিষ্টিই ছিল, কিন্তু যেগুলো তিনি প্যাকেটে ভরে আমার ব্যাগে দিয়েছিলেন সেগুলোই ছিল আসলেই টক। আম বিক্রেতার মিষ্টি কথায় মিষ্টি আম কিনে প্রতারিত হলাম!
রমজানের শেষের দিকে গ্রামের মুরুব্বী শ্রেণীর (হার কিপটে) এক পরিচিত লোক বাজারে প্রায় জোর করেই দুই কেজি আম গছিয়ে দেয়। বললেন নিজের গাছের একদম পাকা মিষ্টি খেয়ে দেখো, টাকা পরে দিও। অর্ধেক টাকা দিয়ে বাড়িতে এনে দেখি হায়রে সবগুলো আম ই ভীষণ টক।
বাকি টাকা নিতে এলে বললাম চাচা কিভাবে জেনে শুনে এ টক আম গুলো আমাকে দিলেন?
অনেক কথা কাটাকাটি পর তিনি বললেন 'ও বাকিতে বিক্রি করলে আম টক হয়ে যায়!' এখানেই কবি নীরব!!
বড়ই আফসোস, গ্রামের সহজ সরল মানুষ গুলোও সামান্য অর্থের লোভে আজ বিবেকের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে!