মোঃ শাহ আলম।।
বরুড়ার বড়হরিপুর বেলতলী হতে মহেশপুর গামী সড়কটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘ এ সড়কটি হরিপুর বেলতলী হতে শ্রীরামপুর, ঘোড়াডেঙ্গা, শিয়ালধাইর, রাজামারা, মহেশপুর, হোসেনপুর হয়ে জাঙ্গালীয়া গ্রামে পৌঁছেছে।
এ সড়ক দিয়েই প্রতিদিন হাজারো মানুষ হরিপুর বেলতলী হয়ে বরুড়া, নিমসার ও কালির বাজার হয়ে কুমিল্লা শহরমুখী যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি গ্রীষ্ম কালে বালি আর বর্ষাকালে কাদায় মরণফাঁদে পরিণত হয়।
শ্রীরামপুর ও হরিপুর গ্রামের কলেজ প্রভাষক এনামুল হক (ইউনুছ) এবং রিপন ভূঁইয়া বলেন ৮/৯টি গ্রামের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণ জনগণের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। কিন্তু এ সড়কটির প্রায় স্থানেই কাদা, পানি জমে ও ভেঙে যাওয়ার কারণে চলাচল একেবারেই মুশকিল হয়ে পড়েছে। এ সড়কের বেহাল দশার কারণে অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েকে আগানগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভর্তি করাতে চায় না।
হরিপুর (দঃ) ডাঃ খোরশেদ আলম বলেন মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক সমাপনী, জে এস সি ও এস এস সি পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। হরিপুর ও তার আশেপাশের ছাত্রছাত্রীরা একমাত্র এ রোডের কারণে পরীক্ষার কেন্দ্রে যাওয়ার যে কি কষ্ট তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
হরিপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন এ অঞ্চলটি শাকসবজি, তরিতরকারি জন্য বিখ্যাত। এখানকার উৎপাদিত পণ্য সারা বছরই নিমসারসহ দেশের বিভিন্ন হাঁটবাজারে খুচরা ও পাইকারী দরে বিক্রি জন্য নেওয়া হয়। কিন্তু একমাত্র রাস্তার কারণে জমি হতে উৎপাদিত পণ্য বাজারমূখী করা সম্ভব হয়ে উঠে না।
হরিপুর বেলতলির গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন একটি গ্যাস সিলিন্ডার কারো বাড়িতে পৌঁছাতে পূর্বে রিকশাওয়ালাকে মাত্র ২০টাকা দিলেই হতো, কিন্তু এ রাস্তার কারণেই এখন ১০০ টাকায়ও যেতে অপারগতা প্রকাশ করে।
আগানগর ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী জাঙ্গালিয়া গ্রামের সাবিনা বলেন মহেশপুর হতে হরিপুর বেলতলি পর্যন্ত কাঁচা সড়ক দিয়েই প্রতিদিন হেঁটে কলেজে যেতে হয়, এ সড়কটি কাঁচা ও কর্দমাক্ত হওয়ার কারণেই আমরা কোন যানবাহন পাচ্ছিনা। হেঁটে কলেজে যাওয়ার পথে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হই। এ রাস্তাটি পাকা করে আমাদের চলাচলের পথ সুগম করে দেওয়ার জন্য আপনার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।