সকালের কুমিল্লা ডেস্ক।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের দাউদকান্দি গোরিপুর একালা থেকে দীর্ঘ যানজটে মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন শতশত যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি। এ যানজট স্থায়ী না হলেও গতি কম থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ঢাকা-কুমিল্লা সড়কে কয়েক ঘণ্টার সড়ক যাতায়াতে লেগে যাচ্ছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। এমন ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গাড়ির চালক ও যাত্রীরা।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি ২য় গোমতী, মেঘনা ও কাঁচপুর সেতু দুই লেনের হওয়ার কারণে এ মহাসড়কে যানজট নিত্যদিন লেগেই থাকে।
এদিকে ফোর লেনের এ মহাসড়কের গাড়িগুলো ওইসব সেতু এলাকায় যাওয়ার পর গতি কমে যায় এবং দুই লেনের সেতু দিয়ে ধীরে ধীরে যাতায়াতের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এসব সেতুর পাশে আরো দুই লেনের সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুগুলো নির্মাণাধীন হওয়ায় এবং গাড়ির চাপ অধিক হারে বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে যানজট প্রকট আকার ধারণ করে।এছাড়া
গাড়ির চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে দাউদকান্দি এলাকা থেকে যানজট মেঘনা সেতুর পর্ব দিকে দাউদকান্দির ২য় গোমতী সেতু ও পশ্চিমে কাঁচপুর এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে ঢাকাগামী এক যাত্রী শামীম মজুমদার জানান, ভোর ৬ টায় ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়েছি এখন সকাল ১১ টায় ।এখনো ঢাকা যেতে পারিনি। রাস্তা অাটকা পড়ে অাছি।
যানজটের ফলে দূরপাল্লার যানবাহনের নারী-পুরুষ ও বৃদ্ধ ও রোগীসহ বিভিন্ন বয়সের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হাইওয়ে পুলিশের দাউদকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম জানান, ‘সকাল মহাসড়কে বাড়তি গাড়ি চাপের কারনে যানজট রয়েছে কিন্তু তা স্থায়ী হচ্ছে না। গোমতী ও মেঘনা সেতু এলাকায় টোল আদায় ও বিকল্প সেতু নির্মাণের কারণে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে অামরা যানজট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অাসছি।যাহনবাহন স্বাভাবিক ভাবে চলতেছে।