মোঃ শাহ আলম,বরুড়া।।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অফিসার পরিচয় দিয়ে গত ১০ জুন মোবাইলে কল আসে সাদিয়া'র (ছদ্ম নাম) কাছে। তিনি বলেন, তোমার কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার তুমিসহ অনেক ছাত্র-ছাত্রীর উপবৃত্তির কাগজপত্র নিয়ে আমার কাছে এসেছেন, কিন্তু তোমার বিকাশে তো উপবৃত্তি ও করোনার অনুদানের টাকা পাঠানো যাচ্ছে না।
ধর, তোমার কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল সাহেবের সাথে কথা বলো। তিনিও বললেন হ্যা তোমার উপবৃত্তির সমস্যা হয়ে গেছে, ঠিক করতে হলে স্যার যেভাবে বলেন সেভাবে কাজ করো তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
ধর, উপবৃত্তি অফিসারের সাথে কথা বল। তিনি বললেন ভবিষ্যতে তোমার উপবৃত্তি না পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আমরা তোমার একাউন্টে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা পাঠানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু এ টাকা তোমার একাউন্টে টাকা যাচ্ছে না।
তিনি বললেন, তোমার যে বিকাশ অ্যাকাউন্ট আছে এখানে মনে হয় তেমন বেশি টাকা লেনদেন হয় না তাই না?
জি স্যার, এটার মধ্যে তেমন কোনো বেশি টাকা লেনদেন হয় না।
তাহলে এক কাজ করো তুমি বিকাশ দোকানে গিয়ে তোমারই বিকাশ নাম্বারে ২৮৫০০ টাকা পাঠাও, তাহলে তোমার বিকাশ একাউন্ট একটিভ হয়ে যাবে। আমরা এখান থেকে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা পাঠিয়ে দেবো। টাকাটা হাতে পেয়ে তুমি বিকাশ দোকানদারকে ২৮৫০০ টাকা সাথে সাথে পরিশোধ করে দিবে আর বাকি টাকা নিয়ে নেবে।
ভাইস প্রিন্সিপাল, শিক্ষা অফিসার ও উপবৃত্তির অফিসারের কথা এগুলো সে বিশ্বাস করে নেয়।
যেহেতু অন্য কোন একাউন্টে টাকা পাঠানোর লাগছেনা শুধু তার বিকাশ একাউন্টে টাকা যাচ্ছে, তাহলে তো এখানে কোন সমস্যা হওয়ার কথাই নয়।
একটি বিকাশ দোকান থেকে তার এ্যাকাউন্টে ২৮ হাজার ৫০০ টাকা পাঠায়। ওখান থেকে জানায় টাকা তোমার একাউন্টে টাকা ঢুকে নাই তুমি আবার চেষ্টা করো।
এভাবে সে দুইবার নিজের একাউন্টে ২৮৫০০ টাকা করে মোট ৫৭ হাজার টাকা পাঠায়।
টাকা পাঠানোর পরে দেখে তার একাউন্টে কোন টাকাই নাই, আর ঐ মোবাইলটাও বন্ধ।
এভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে উপবৃত্তিধারী গরীব, অসহায়, এতিম ছাত্র ছাত্রীদের হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রতারক চক্র।