সকালের কুমিল্লা ডেস্ক।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের আবিদপুর দক্ষিন পাড়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (৫০) কতৃক অন্যের জমি দখল, গাছ উত্তোলন করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে৷ ভাইরালের পরপরই ২ মিলিয়ন এর বেশি ছাড়িয়েছে ভিউয়ের সংখ্যা৷ লাইভ ভিডিওতে দেখা, ক্ষমতার বলে তুষার(২৫) নামে সাবেক মালেশিয়া প্রবাসী এক ব্যাক্তির জায়গা থেকে জোর পূর্বক গাছ উত্তোলন করার সময় লাইভ ভিডিও দেখে ক্ষিপ্ত হয় ঐ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ও তার ছেলে তারপর জোর করে তুষারের মোবাইল ফেলে দিয়ে তার মা রেখা বেগমকে এলোপাথারি মারধর করে। জাহাঙ্গীর আলম ও তার ছেলে সাকিব হোসেন(২২)
ঘটনার সতত্যা জানতে আবিদপুর দক্ষিনপাড়া ভিক্টিম তুষারের বাড়ি'তে গেলে দেখা যায়, প্রভাবশালী বনে যাওয়া জাহাঙ্গীর আলম এবং তুষারদের মাঝে জমি সংক্রান্ত জেরে বিরোধ দীর্ঘদিনের। জাহাঙ্গীর আলম এর ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরও কয়েজন সাহস করে মুখ খুলেছে৷
আতিক নামে একজন প্রতিবেদক-কে জানায়, গত ২৭-০৬-২০২১ তারিখ সকাল ৯ টার সময় ভিক্টিম তুষারের জায়গা থেকে সদ্য রোপন করা আম গাছ তুলে ফেলেন জাহাঙ্গীর আলম এ সময় করোনার কারনে মালেশিয়ার ফেরত হাইএক্স চালক তুষার গাছ তুলতে বাঁধা দেয় এবং তার মোবাইল ফোন দিয়ে ফেইসবুকে লাইভ করতে শুরু করলে জাহাঙ্গীর আলম ও তার ছেলে সাকিব দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভিক্টিম তুষারের মা রেখা বেগম(৪০) মাথায় গুরুত্বর আঘাত করে, পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স ভর্তি করায়, কিন্তু আহত রেখা বেগমের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
না প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় মহিলা'রা বলেন, জাহাঙ্গীর আলম প্রভাবশালী হওয়ার কারনে তার বিপক্ষে যেতে কেউ সাহস করে না। মৃত রোকন উদ্দিন তিন ছেলে একজন প্রতিবন্ধী৷ গত বুধবার তুষারের জায়গার সংলগ্ন ২ শতক জমি ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে একই এলাকার মফিজের চার ছেলের কাছে৷
ঐ জায়গার সীমানা নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ দিকে ভিক্টিম তুষার মিয়া অভিযোগ করে জানায়, কয়েক বার থানায় গিয়েও লাভ হয়নি আমার। জাহাঙ্গীর আলম প্রভাবশালী এবং অনেক টাকার মালিক হওয়ার কারনে সবাই কে তিনি টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলেন। আপনাদের আগেও কিছু কথিত সাংবাদিক এসে জাহাঙ্গীরের টাকার কাছে বিক্রি হয় গেছে। ন্যায় বিচার নিয়ে অনেকটাই আতংকে দিন কাটাচ্ছি আমি। আমার বাবা নেই ছোট ভাইটা প্রতিবন্ধী। করোনার কারনে মালেশিয়া থেকে এসে দেশে হাইএক্স মাইক্রো গাড়িতে ড্রাইভিং করে সংসার চালাই। আমার নিজের পিতৃসম্পত্তিতে আমি আমের চারা রোপন করি, কিন্তু আমার প্রতিবেশি জাহাঙ্গীর ও তার ছেলে আমাকে এবং আমার মা কে মারধর করে কুপিয়ে আহত করে৷ আমার মা মাথায় অনেক আঘাত পেয়েছে, এম.আর আই করার পর অর্থ সংকটে আমার মায়ের ঠিকমত চিকিৎসা করাতে পারছি না৷ জাহাঙ্গীর আলম এবং তার পালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি দিশেহারা। আমার নিজের জায়গা আমি গাছ লাগানোর কারনে নির্যাতিত।
অন্যদিক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিজেকে নিমসার জুনাব আলী কলেজের সাবেক ভিপি ও ওয়ার্ড আওয়ামীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে বলেন, ঐ জায়গা তার নিজের৷ কিছু দিন আগে সে ঐ জায়গা বিক্রি করেছেন৷ এ ঘটনায় তার ভাষ্য প্রশাষনের বড়কর্তা ব্যাক্তিরা ম্যানেজ বলে জানায়৷
ভিক্টিম তুষার তার সহায়তায় বেঁচে আছে বলে দাবী করেন তিনি ৷ এক পর্যায়, তিনি প্রতিবেদক কে তার লোকজন দিয়ে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখান,তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার না করার জন্যে৷
এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ভিক্টিম তুষার লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বুড়িচং থানায় অবস্থান করছেন বলে ভিক্টিম তুষার নিশ্চিত করেন৷