এ আর আহমেদ হোসাইন।।
মহামারী করোনার থাবায় কুমিল্লায় থামছেনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনায় আক্রান্ত এম এ হোসাইন নামের এক ব্যক্তির চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে ডাক্তারকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলায় করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ৩ যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। গত- ২৫-০৭-২০২১ইং তারিখে রাত-৮ টায় জেলার এএফসি মনিপাল হার্ট হাপাতালে কোতোয়ালী থানার সাকতলা গ্রামের মৃত. হামিদ'র ছেলে রোগী এমএ হোসাইন কে হাসপাতালের নিয়ে গেলে মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তানভীর আকবর (২৯) চিকিৎসা শুরু করেন। রোগীর শ্বাসকষ্ট বেশী হলে ও অক্সিজেন'র মাত্রা ৫৮ নেমে আসলে রোগীকে সিলিন্ডার অক্সিজেন সরবরাহ করে ৬৬ পার্সেন্ট অক্সিজেনে উন্নতি করা হয়। পরে হাইফ্রো নজেলের মাধ্যমে আরো অক্সিজেন সরবরাহ করা ও রোগীর চিকিৎসা উন্নতির করার জন্য, রোগীর সাথে থাকা লোকজনকে কুমিল্লা অথবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তারা অতর্কিত ভাবে ডা: তানভীর আকবর'র উপর হামালা চালায় এবং বাশ দিয়ে শরীরে আঘাত করে মারাক্তক ভাবে জখম করে ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ভাংচুর করে।
পরে ডাঃ তানভির আকবর বাদী হয়ে গত- ২৬ - ০৭- ২০২১ইং তারিখে ৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরোও ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাতনামা করে কোতয়ালী
মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১১১ ধারা : (১৪৩, ৩০৭, ৪৪৭)।
ওই ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ'র নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সোহান সরকার'র নেতৃত্বে ও জেলা গোয়েন্দা ফোর্সের সমন্বয়ে, বাদী মামলা করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৬ - ০৭- ২০২১ইং তারিখ সোমবার রাতে কুমিল্লা ও ঢাকা শহরের একাদিক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- সদর দক্ষিণ থানার নোয়াগাও গ্রামের ডাঃ এমএ হোসাইন'র পুত্র মোজাম্মেল হোসাইন অয়ন ( ৩২), আব্দুল্লাহ আল মামুন অনন্ত( ২৫) ও আব্দুল কাদের অনিক( ২২)।
আসামীদের পিতার নাম ও ঠিকানায় গরমিল পাওয়া গেলে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কমল কৃন্ষ ধর বলেন- রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় আসমীদের পিতার নামের পরিচয় ও ভূল ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল তবে গ্রেফতার করার পর দতন্ত সাপেক্ষে সঠিক ঠিকানা বের করা হয়।
কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরীর বলেন- ওই গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে মঙ্গলবার বিকালে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।