নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ছাত্রলীগের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটির সভাপতি আবু তৈয়ব অপি’র সঙ্গে বুড়িচং উপজেলা যুবলীগ নেতার হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫আগষ্ট রাতে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে বুড়িচং থানার পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি তদন্ত মাকসুদ আলম।
জানা যায়, গত (১৫ আগষ্ট ২০২১) রবিবার শোক দিবসের সকালে জেলার বুড়িচং উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনাটি ঘটার পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী নেতাকর্মী ও উপস্থিত পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বুড়িচং উপজেলা শোক সভায় আসেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব অপি। অপি উপস্থিত হওয়ার কিছুক্ষণ পর উপজেলা শহীদ মিনারের কাছে দাড়িয়ে থাকা নেতা-কর্মীদের সাথে কথোপকথনের সময় পাশে দাঁড়ায়ে থাকা কয়েকজন নেতাকর্মী ছাত্রলীগ নতুন কমিটির বিষয়ে উস্কানি মূলক কথাবার্তা বলতে থাকে এবং অপির বিরুদ্ধে নানারুপ কথা বলতে থাকে। এসব কথা শুনে আবু তৈয়ব অপি তাদেরকে কাছে এনে প্রশ্ন করাকালীন তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এসময় দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি অপির গায়ে হাত তোলে জহির সহ কয়েকজন। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে ঘটনারস্থলে এসে বুড়িচং থানার ওসি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনার পর উপজেলা পরিষদের বাইরে দফায় দফায় সংর্ঘষ ও নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করে।
উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বুড়িচং উপজেলা যুবলীগের কর্মী জহির (৩২)কে ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার সময় গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত জহিরের বুড়িচং সদরের ফকির বাড়ির আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
এ ঘটনার বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব অপি’র কাছে সরাসরি জানতে চাইলে তিনি এ ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে হাতাহাতির ঘটনাটির কথা অস্বীকার করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বুড়িচং থানার এসআই বিনোদ দস্তগীর প্রতিনিধিকে জানান, শোক দিবসের দিন সাকালে উপজেলা পরিষদের ভিতরে তাদের মাঝে হাতাহাতি ঘটনাটি ঘটে। ওই দিন বড় কোনো ঘটনা ঘটার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি এবং ঘটনারস্থল তদন্তপূর্বক জড়িত থাকা যুবলীগের কর্মী জহিরকে গ্রেফতার করি।
বুড়িচং থানার তদন্ত ওসি মাকসুদ জানান, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি আবু তৈয়ব অপি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে একই দিন শোক দিবসের সকালে শোক র্যালূী ও মিছিলে ছাত্রলীগ নেতা আল-আমীন ভূইয়া সহ নেতাকর্মীদের হাতে যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঞ্ছিত হয়। এর জের ধরে কিছুক্ষণ পরই উপজেলা সদরে ছাত্রলীগ নেতার কলেজ গেইটের দোকানে যুবলীগ নেতা হাজী বিল্লালের নেতৃত্বে যুবলীগ নেতার কর্মীসমর্থক ও স্বজনরা লুটপাট, হামলা ও ভাংচুর চালায় বলে জানা গেছে
এসময় ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগীদের কয়েকজনেকে মারধরও করা হয়। দোকানের মেঝেতে ফেলে পিটিয়ে ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনের হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা যুবলীগ নেতা হাজী বিল্লাল ও তার সমর্থক এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে বলে জানায় আল-আমীন । আহত ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন ভূইয়া জানান,তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাজী বিল্লাল ও জিলানীর নেতৃত্বে আমার দোকান ভাংচুর করা হয়েছে এবং আমাকে মারধর করে হাত ভেঙে দিয়েছে। এসময় দোকান লুটপাট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও বুড়িচং থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।