বুড়িচং প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ের পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কবরস্থানে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুমিল্লা, পিআর মামলা নং-১৩২৭/২১, স্মারক নং-২০১১/এডিএম, তারিখ: ২২/৮/২১ ইং ধারা-১৪৫ ফৌ.কা.বি.এর সূত্র মতে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা বরাবরে ১ম পক্ষ সাং সাদকপুর গ্রামের অধিবাসী মো. তাজুল ইসলামের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ও ২য় আব্দুছ কুদ্দুছ, আ: করিম উভয় পিতা-মৃত. আ:আহাদ তারই প্রতিবেশী প্রতিপক্ষগণ কর্তৃক যাতে বুড়িচং থানার অন্তর্গত সাদকপুর মৌজায়, আরএস-২৫ নং বিএস ১৬২ নং খতিয়ানভূক্ত, সাবেক ১২৬৩ দাগ হাল বিএস ১৩৫৭ দাগে কবরস্থান মোয়াজেতিনি শতক ভূমি অন্দরে উত্তর পশ্চিম অংশে মো. ৩ শতক ভূমি হতে ১ম পক্ষকে জোরপূর্বক বেদখল করিতে না পারে কিংবা নালিশী তপসিলোক্ত ভূমিতে ১ম পক্ষের সুদীর্ঘকালের শান্তিপূর্ণ দখলে কোন প্রকার বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না তার জন্য উক্ত ভূমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য বুড়িচং থানার ওসিকে সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক রিপোর্ট দাখিলের আহবান জানানো হয়। কিন্তু স্থিতাবস্থার আদেশ জারির পরদিন গত ২৩ আগস্ট প্রতিপক্ষ খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক রাতারাতি ইট বালি দিয়ে ১২ বছর ধরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে ওয়াল নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি কবরস্থানের পশ্চিম দিক দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে পশ্চিম পাশে পুরনো কবর আছে বলে নতুন রূপে বাঁশ দিয়ে কবরস্থানে নতুন কবর সদৃশ তৈরী করেছেন । যেখানে পূর্বে কবর ছিলো বলে স্থানীয়রা জানান। এ বিষয়ে ২য় পক্ষের আব্দুল কুদ্দুছ মিয়ার সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কবর বানানোর বিষয়টি স্বীকারের পাশাপাশি এটি তাদের পূর্ব পুরুষদের কবর সম্প্রতি নতুন রূপে তৈরী করেছেন বলে জানান এবং কবরস্থানে সুরক্ষার জন্য তিনি তাদের নিজের জায়গায় উক্ত প্রাচীর নির্মান করেছেন । যদি ও সুফিয়া খাতুন গংরা উক্ত কবরস্থানের উন্নয়নে মাটি ভরাটসহ ব্যাপক ভূমিকা রেখে গেছেন। তথাপি উভয় পক্ষই আত্মীয়তার সম্পর্কে জড়িত। তাই এলাকার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা আশা করছেন কবরস্থান নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে অযথা মামলা হামলায় না জড়িয়ে বিষয়টি সুরাহাকল্পে সংশ্লিষ্ট সাহেব সর্দার আইন শৃংখলা বাহিনী এগিয়ে আসা দরকার। এদিকে, বিজ্ঞ আদালতের পক্ষে নোটিশকারী এসআই বিনোদ দস্তিদার জানান- বিজ্ঞ আদালতের
স্থিতাবস্থা জারির পর আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আইন শৃংখলা ভঙ্গ করিলে সংশ্লিষ্ট পক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।