সকালের কুমিল্লা ডেস্ক।।
দীর্ঘদিন ভোগান্তির পর বরুড়ার ৩নং উঃ খোশবাস ইউনিয়নের ইলাশপুর থেকে আরিফপুর রাস্তার উন্নয়নে বরুড়া-৮ সাংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল রাস্তাটি পাকা করার আশ্বাস দেওয়া এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এই রাস্তাটি সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন এর বাড়ির কাছাকাছি গণি মিয়ার রেন্ট্রি গাছ ও বসবাসের ঘর রাস্তাটি ঘিরে থাকায় আরিফপুর গ্রামের অংসখ্য মানুষ সি এন জি নিয়েও বাড়ি যেতে পারতেন না! অবশেষে সাংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল গণি মিয়াকে নির্দেশ প্রদান করলে তিনি গাছ কেটে ঘর সরিয়ে নেন।
জনগনের দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষার পর এই রাস্তাটি পাকা করণে কিছু অনিয়ম দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,রাস্তার কিছু অংশে এক নাম্বার ইটের সুরকি ফেললেও অধিকাংশ রাস্তায় নিম্মমানের সুরকি ফেলায় এলাকাবাসী রাস্তা নির্মাণে বাধা প্রদান করছেন।
খোশবাস ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. জাকির হোসেন ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, এমপি সাহেবের আন্তরিক ব্যবস্থাপনার কারণে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসানে এই রাস্তাটি নির্মাণ কাজ চলছে। রাস্তাটির ঠিকাদার হাজী ইয়াসিনের আন্তরিকতা না থাকায় রাস্তাটিতে তিনি নিম্মমানের ইট দিয়ে শেষ করতে চাচ্ছেন কিন্তু আমরা চাই এই রাস্তাটি ১ নাম্বার ইট দিয়ে ভালোভাবে হোক। এই রাস্তায় বরাদ্ধ ভালো তাছাড়া এখানে এলাকার কেউ চাঁদাবাজি করে নাই তাহলে এই ধরনের পঁচা ইট দিয়ে কেন পাকা হবে? আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেও বিষয়টি জানিয়েছি।
ইলাশপুর গ্রামের হাজী মো. আবু তাহের বলেন, এই পঁচা ইট তুলে নিয়ে অনতিবিলম্বে ভালো ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ না করলে আমরা এলাকাবাসি একত্রিত হয়ে বড় ধরনের আন্দোলনে নামবো কোন ছাড় দেওয়া হবে না। এই রাস্তাটি আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা।