আরিফ আজগর।।
৩য় ধাপে দেশের ১ হাজার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীতা চূড়ান্ত করতে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত নিবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। ২৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা হওয়ার কথা থাকলেও ১ দিন পিছিয়ে তা ২৫ অক্টোবর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আওয়ামীলীগের কেন্দ্র থেকে।
এ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার কথা আগেই জানিয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই বিএনপির কোনো প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা খুবই কম। তবুও অনেক ইউনিয়নের বর্তমান (রানিং) চেয়ারম্যান বিএনপির হওয়ায় কৌশলে তারা অগ্রসর হচ্ছেন। অনেকেই অপেক্ষায় আছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী কে হচ্ছেন দলীয় প্রতীকে, সেটার দিকে। অপরদিকে অনেক ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের তৃণমূল কাউন্সিলে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন খোদ আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী। ফলে, নৌকা না পেলে অনিয়মের অভিযোগে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথাও ভাবছেন অনেক আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে অপেক্ষায় আছেন বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যানরা। আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীকের প্রার্থী এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোটবিতণ্ডার ফায়দা নিতে অপেক্ষমান বিএনপির চেয়ারম্যানরা।
অপরদিকে, আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের এখন রুদ্ধশ্বাসকর প্রহর কাটছে। কে পাবেন নৌকার টিকিট, সে অপেক্ষায় দিন কাটছে নেতাকর্মীদের। উমুকে পাবেন তমুকে পাবেন এমন বাক্যে বেশ তর্কাতর্কিও চলছে। আওয়ামীলীগের সকল নেতৃবৃন্দ তাদের ব্যক্তিগত পছন্দের প্রার্থীর নৌকার টিকিট পেতে ফেসবুকে বেশ সরব রয়েছেন দোয়া প্রার্থনার পোস্টের মাধ্যমে। আবার ফেসবুক পোস্টেই অনেক নেতাকর্মী বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীর নৌকা পাওয়ার বিষয়ে লড়ে যাচ্ছেন কথার মারপ্যাঁচে।
২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদগুলোর মনোনয়ন বোর্ডে তৃণমূল নেতৃবৃন্দের সুপারিশ এবং গোয়েন্দা রিপোর্ট পর্যালোচনা করা হবে। সার্বিক দিক থেকে যাকে যোগ্য মনে হবে তার হাতে নৌকা তুলে দেবে আওয়ামীলীগ। তবে সেটার জন্য পরদিন ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সবাইকে। ২৬ অক্টোবর দলীয় চিঠির মাধ্যমে জানানো হবে কে হবেন এ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। ২য় ধাপে অযোগ্য, বিতর্কিত কয়েকজন নৌকা পাওয়ায় তোপের মুখে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ এবার ৩য় ধাপে বেশ সজাগ দৃষ্টিতে বিচার বিশ্লেষণের কথা জানা গেছে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে। চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণের মধ্য দিয়েই যোগ্য প্রার্থীর হাতে নৌকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।