নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ২নং ভবানীপুর ইউনিয়নের ২ স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপর হামলা করে তাদের আহত করেছে ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী খলিলুর রহমানের ক্যাডার বাহিনী। যা নির্বাচনের আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন হয়েছে। শনিবার রাত ৯টায় ভবানীপুর ইউনিয়নে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি শরীফ আহমেদের উপর হামলা চালানো হয়। মুফতি শরীফ আহমেদ জানান, তিনি নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি চা দোকানে গিয়ে সেখানকার লোকজনের কাছে দোয়া এবং ভোট চান।
এসময় ৬০-৭০জনের একদল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল বহরে এসে তার উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। তাকে আঘাত করতে করতে নৌকা ছাড়া কোনো আওয়াজ নাই, এই ইউনিয়নে নৌকা ছাড়া কেউ মাঠে থাকবে না। নৌকার বাইরে কেন এসেছিস বলতে বলতে সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে মারধর করতে থাকে। হামলায় মারাত্মক জখম হন শরীফ আহমেদ। আহত করে সন্ত্রাসী বাহিনী যাওয়ার সময় শরীফ আহমেদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মোবাইল এবং নগদ অর্থ লুটপাট করে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে, একই দিনে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের মিজানুর রহমানের ওপরও হামলা চালিয়েছে নৌকার মনোনীত প্রার্থী খলিলুর রহমানের আরেকদল ক্যাডার বাহিনী। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান আনারস প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে বাতাইছড়ি বাজারে অবস্থানকালীন সময়ে খলিলের ৬-৭ জনের ভাড়াটে ক্যাডার বাহিনী এসে কিছু না বলেই তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি দিতে থাকে। ঘটনার পর মিজানুর রহমান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি জানান।
ঘটনার বিষয়ে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে যে ই অপরাধ করবে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
বরুড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজহারুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায় নি।