আরিফ আজগর।।
“প্রয়োজনে জেলে যাবো তবুও নির্বাচন থেকে সরবো না, নির্বাচনের মাঠে থাকার প্রয়োজনে আদ্রা ইউনিয়ন থেকে যদি কারও জেল খাটতে হয় তবে সবার আগে আমি জেলে থাকবো “। কথাগুলো বলছিলেন ১৩নং আদ্রা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাকিবুল হাসান লিমন।
সোমবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হেরপেটি গ্রামে স্থানীয় আওয়ামীলীগ আয়োজিত নির্বাচনী সভার প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় লিমন আরও বলেন, ১৩নং আদ্রা ইউনিয়ন দুই এমপির ইউনিয়ন, এই ইউনিয়ন আমার নেতা বরুড়ার গণমানুষের নেতা, বরুড়ার উন্নয়নের রূপকার নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল মহোদয় এবং বিএনপির সুমন সাহেবের ইউনিয়ন। অথচ এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান একজন স্বাক্ষর জ্ঞানহীন। আমাদের দুঃখ হয় আমরা এই চেয়ারম্যানের জন্য নিজেদের অর্থ ব্যায় করে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের তথা ১৩নং আদ্রা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ তথা ইউনিয়নের সকল মানুষের সাথে আমার প্রতারণা করেছেন। মানুষ এখন আমাদেরও ছি ছি করছে। আগামী ২৮ নভেম্বর আমাকে যোগ্য মনে হলে মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে একবার সুযোগ দিন আপনাদের সেবা করার বলে বক্তব্য শেষ করেন তিনি”।
এসময়, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব নুরুল হক ভূইয়া, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন মজুমদারসহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং শ্রমিকলীগের শত শত নেতাকর্মী এবং সাধারণ ভোটারেরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি ইউনিয়নের মন্দুক গ্রামে তাঁর নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেন এবং পরে গনকখুলি এলাকায় নির্বাচনী সভায় অংশ নেন।