আজকের ১৯,১১,২১ জুমার খুতবা।
আলোচকঃ হাফেজ মাওঃ মোঃ নূর হোসেন, ফেনী
আল মদীনা জামে মসজিদ বাংবাজার।
রিযিক যেমন বন্টন হয়
বন্টন হয় চরিত্র
আল্লাহ তায়লার মদদ ছাড়া
হয়নাতো কেউ পবিত্র।
”পবিত্র সংবিধান কুরআন”
সূরা আলা আয়াত ৩, সূরা আর রাদ আয়াত ১১,সূরা ফজর আয়াত ১৬, সূরা বালাদ আয়াত ১০, সূরা হিজরি আয়াত ১৩,১৪, সূরা ক্বমার আয়াত ২৫,সূরা আবাসা আয়াত ১২,সূরা দাহার আয়াত ৩, সূরা গশিয়া আয়াত ১২, সূরা ইনফিতর আয়াত ১৩,১৪, সূরা ফুরকন আয়াত ২৫।
তাফসীরে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখা দেখুন তাফসীরে ইবনে কাসীর, তাফসীরে মারেফুল কুরআন,তাফসীরে নুরুল কুরআন,তাফসীরে তাফহীমূল কুরআন।
”প্রিয় রাসূলের অন্তিম অসিয়ত”
হযরত উমর ইবনে খাত্তাব রাঃ হতে বর্ণিত রাসূল সাঃ এরশাদ করেন তোমরা ঈমান আনো আল্লাহ পাকের উপর তার ফেরাস্তারে উপর কিতাবের উপর রাসূলগনের উপর পরকালের উপর ভাগ্যের উপর পুণরায় জীবিত হওয়ার উপরে।সুনানে নাসায়ী ৪৯৯০।
হযরত আব্বাস রাঃ হতে বর্ণিত ”আল্লাহ মানুষের নফস সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর অন্তরে সৎকর্ম অসৎকর্ম উভয়ের প্রেরণা জাগ্রত করেছেন”।মুস্তাদরাক হাকেম ৩৯৩৯।
হযরত হাসান বসরী রতঃ বলেন ”অনেক মানুষের দোষ -ত্রুটি ও গোনাহের উপর আল্লাহ তায়ালা পর্দা ফেলে রেখেছেন, তাদের লান্ছিত করেননি।ফলে তারা আরও বেশী ধোঁকায় পড়ে গেছে ”।
হযরত আব্বাস রাঃ হতে বর্ণিত নিশ্চয়ই আমি মানুষকে শ্রম নির্ভররুপে সৃষ্টি করেছি।বালাদা আয়াত ৪, মানুষ গর্ভাশয়ে আবদ্ধ থাকে,জম্মলগ্নে শ্রম ও কষ্ট স্বীকার করে,এর পর আসে জননীর দুগ্ধ পান করার ও তা ছাড়ানোর শ্রম।অতঃপর জীবিকা ও জীবনোপকরণ সংগ্রহের কষ্ট, বার্ধক্যের কষ্ট, মৃত্যু,কবর ও হাশর এবং তাতে আল্লাহর সামনে জবাবদিহি,প্রতিদান ও শাস্তি -এ সমুদয় শ্রমের বিভিন্ন পর্যায়,যা মানুষের উপর দিয়ে অতিবাহিত হয়। মুস্তাদরাক হাকেম ৩৯৩৩।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ হতে বর্ণিত আয়াত আমি তাকে দুটি পথ প্রদর্শন করেছি।বালাদ ১০, এ বলে কল্যাণ ও অকল্যাণের পথ বোঝানো হয়েছে। মুস্তাদরাক হাকেম ৩৯৩৪।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন ”এ উম্মতের প্রথম স্তরের মুক্তি পূর্ণ ঈমান ও সংসার নির্লিপ্ততার কারণে হবে এবং সর্বশেষ স্তরের লোক কার্পণ্য ও দীর্ঘ আকাংখা পোষণের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে”।
হযরত আবু দারদা রাঃ হতে বর্ণিত আছে,তিনি একবার দামেশকের জামে মসজিদের মিম্বারে দাঁড়িয়ে বললেনঃ হে দামেশকবাসী! তোমরা কি একজন সহানুভূতিশীল,হিতাকাংখী ভাইয়ের কথা শুনবে?শুনে নাও,তোমাদের পূর্বে অনেক বিশিষ্ট লোক অতিক্রান্ত হয়েছে। তারা প্রচুর ধন-সম্পদ একত্রিত করেছিল,সুউচ্চ দালান কোঠা নির্মাণ করেছিল এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা তৈরি করেছিল,আজ তারা সবাই নিশিহৃ হয়ে গেছে। তাদের গৃহগুলোই তাদের কবর হয়েছে এবং তাদের দীর্ঘ আশা ধোঁকা ও প্রতারণায় পর্যবসিত হয়েছে। আদ জাতি তোমাদের নিকটেই ছিল।তারা ধন, জন,অস্ত্রশস্থ ও অশ্বাদি দ্বারা দেশ পরিপূর্ণ করে দিয়েছিল।আজ এমন কেউ আছে কি,যে তাদের উত্তরাধিকার আমার কাছ থেকে দুদিরহামের বিনিময়ে কিনতে সম্মত হবে?
হাসান বসরী রাহঃ বলেন যে,ব্যক্তি জীবদ্দশায় দীর্ঘ আকাংখার জাল তৈরি করে,তার আমল অবশ্যই খারাপ হয়ে যায়।কুরতুবী।
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন ”আল্লাহ পাক বলেন যদি আমার বান্দাগন আমার প্রকৃত আনুগত্য করত,তবে আমি রাতে তাদের উপকারী বৃষ্টি দ্বারা সিক্ত করতাম এবং দিনের বেলা তাদের উপর উপকারী সূর্য উদিত করতাম এবং কখনই তাদের বজ্র নিনাদ শোনাতাম না”। মুস্তাদরাক হাকেম ৩৩৩১।
”শিক্ষামূলক ইতিহাস”
প্রশংসা সবি কেবল তোমারী
রাব্বুলা আলামিন
দয়ালু মেহেরবান করুণা অপুরাণ
আর কেউ নয় তুমি মালিক
শেষ বিচারের দিন শেষ বিচারের দিন।
রাসূল সাঃ বলেন বান্দা জম্মের হাজার বছর বছর আগে তার ভাগ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। বান্দা কি খাবে কি পড়বে কি চাকরি করবে কতদিন বাঁচবে সমস্ত কিছু লিপিবদ্ধ করা আছে আল্লাহ পাকের ইলমে বান্দার ভাগ্যে।
রাসূল সাঃ এরশাদ করেন মানুষের প্রত্যেক কাজের পরিকল্পনা সিন্ধান্ত তার নিয়তের উপর নির্ভর করে।কারো মিয়ত যদি হয় ভালো সে ভালো পাবে কারো নিয়ত যদি হয় খারাপ সে খারাপটাই পাবে।কারো দুনিয়া নারী টাকা বাড়ি গাড়ি পাবার মোহে মেতে আছে আর কেউ মহান রবের সন্তুষ্ট পাবার আশায় জীবন পার করে দিচ্ছে।
বিপদ মসিবতে সহায়তা কর তুমি
দুঃখ্য বেদনায় শান্ত নাও তুমি
হারানোর ব্যাথা যদি ঘেরে ধরে আমাকেউ
আল্লাহ তুমি তখন এসে গভীর ভালোবেসে
কমিয়ে দিয়ো ব্যাথার পাল্লা।
মানুষকে আল্লাহ পাক দামী করে সৃষ্টি করেছেন। বান্দার কর্ম যেমন হবে ফল তেমন পাবে, যার চেষ্টা প্রচেষ্টা ভালো হবে তার কাজ কর্ম ভালো হবে,যার খারাপ চিন্তা ভুল প্রচেষ্টা তার ভাগ্যে খারাপ ফল বয় আনবে।
ভাগ্য ২ প্রকার ১ ভাগ্য বান্দার চেষ্টা সংগ্রাম ভালো কর্ম দিয়ে পরিবর্তন করা যায় আরেক ভাগ্য শত কুরবান দিয়োও পরিবর্তন করা যাবেনা সরাসরি আল্লাহ পাক যা লেখে দিয়েছেন তাই থাকবে মৃত্যু আগদিন পর্যন্ত।
যে গোলাম আল্লাহ পাকের উপর পরিপূর্ণ তাওয়াক্কুল আছে ঐ গোলামের ভাগ্য ও পরিকল্পনা সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম হয়ে বরকতময় হয়।আর যে বান্দা আল্লাহ পাকের খেয়ে পড়ে অক্সিজেন নিয়ে অন্যের উপর ভরাসা করে দুনিয়ায় সমাধান খুঁজে ঐ ভাগ্য ধ্বংস পরিকল্পনা ধ্বংস।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ততক্ষণ পর্যন্ত বান্দার ভাগ্য পরিবর্তন করোনা যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা নিজ চেষ্টায় নিজ সংগ্রামে পরিবর্তন করেনা।
কত শত ভূল মাফ করে দাও জানাকি অজানা
আমি তোমারী গোলাম ওগো অন্য কারোনা
আলিমুল গায়েব তুমি মালিক রব্বানা
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু।
যে মানুষের চিন্তা, কর্ম,পরিকল্পনা সৎহয় ঐ মানুষের জন্য ভাগ্য ও জান্নাত নির্ধারিত হয়ে
আর যে বান্দার চিন্তা, কর্ম,পরিকল্পনা অসৎহয় ঐ বান্দার ভাগ্য ও জাহান্নাম নির্ধারিত হয়।
হযরত আব্বাস রাঃ বলেন আল্লাহ পাক মানুষের নফস সৃষ্টি করার পর তাকে সৎকর্ম আর অসৎকর্ম করার স্বাধীনতা দিয়েছেন। যে গোলাম বুদ্ধি করে জ্ঞান খাঁটিয়ে সৎকর্ম করে অসৎকর্ম থেকে নিজে দূরে রাখে ঐ বান্দার জন্য আল্লাহ পাকের জান্নাত নির্ধারিত, তার ভাগ্য আর পরিকল্পনা আল্লাহ পাকের রঙে রঙিন হয়।
ঈমানদার মুসলামানের জন্য কোন বিপদ মসিবত ভাগ্য পরিকল্পনা আসলে পরীক্ষা।