সকালের বিনোদন ডেস্ক।।
জমে উঠেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আগামী ২৮ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। প্রথমটি গত দুই বছর দায়িত্ব পালন করা মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল এবং অপরটি ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুন প্যানেল। দুই প্যানেলই গত ১২ জানুয়ারি তাদের বাকি পদের সদস্যদের নিয়ে মনোনয়ন ফর্ম জমা দিয়েছেন। এখন তারা চালাচ্ছেন জোর প্রচারণা।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নায়িকা নিপুণ চৌধুরী হলেন বরুড়া উপজেলা ভবানিপুর ইউনিয়নের জালগাঁও গ্রামের মরহুম মনসুর আলী বড় মেয়ে। মরহুম মনসুর আলী ছিলেন সচিব। নায়িকা নিপুণ চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এই পর্যন্ত দুইবার পেয়েছেন।
অভিনেত্রী নিপুণ চৌধুরী বরুড়াতে না থেকেও বরুড়ার মানুষের কথা ভুলে যাননি। তার প্রমাণ করোনা সংকটকালে। তিনি করোনাকালীন সময়ে তার জন্মস্থান বরুড়া উপজেলা ভবনিপুর ইউনিয়ন জালগাঁও গ্রামের মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন ত্রাণ ও অর্থ পাঠিয়ে।
নিপুণ চৌধুরী বলেন, আমার দাদা ছিলেন দানশীল মানুষ , সব সময় মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করতেন। আমার বাবা সচিব ছিলেন। তিনিও অত্যন্ত সৎ ও দানশীল ছিলেন। গ্রামের মানুষরা এখনো আমার বাবার কথা ভুলেননি । ফ্যামিলি থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষাটি আমি পেয়েছি।
সতের বছর ধরে আমি আমার নিজের গ্রামের সব মানুষের জন্য চ্যারিটি করে আসছি। প্রতিবছরই আমরা কেউ না কেউ গ্রামের বাড়িতে যাই । আর নিয়মিত তো খোঁজখবর রাখা হয়। বিগত ২৩ বছর গ্রামে আমারা একটি মসজিদ , একটি মাদ্রাসা ও একটি এতিমখানা পরিচালনা করি। আমার বাবা এগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাবার অবর্তমানে এখন আমি এগুলোর দায়িত্ব নিয়েছি। মাদ্রাসার ছোট ছোট হাফেজ গুলোর কথা শুনলে আনন্দে আমার চোখে পানি চলে আসে।
এফডিসি নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অভিনেত্রী নিপুন বলেন, “এবারের জোয়ার আমাদের দিকে। আমরা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।”