আরিফ আজগর।।
কেএম আমির হোসেন। একজন জাপান প্রবাসী। বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়। পড়াশোনার তাগিদে জাপান গেলেও সেখানেই কর্মজীবন গড়েছেন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে একপাশে রেখে মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন জাপান প্রবাসী কুমিল্লার এই সন্তান। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গঠন করে সেসব সংগঠনের মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো যেন নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার। সূদুর জাপানে বসে প্রতিনিয়ত দুস্থ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন মানবতার এই ফেরিওয়ালা। তার উল্লেখযোগ্য মানবসেবার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মুমূর্ষু রোগীকে রক্তদান। কুমিল্লা ও এর আশপাশের জেলাগুলোর জরুরি রক্তের প্রয়োজন মেটাতে গঠন করেছেন রংধনু ব্লাড ডাইভার্স নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য সদস্যরা জরুরি রক্তের প্রয়োজনে ছুটে চলেছেন দিনরাত। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সারাদেশ অক্সিজেন হাহাকারে পড়েছিল। ঠিক সেসময় এই সংগঠনের মাধ্যমে রাত বিরাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে মুমূর্ষু রোগীর দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা৷ শুধু রক্ত কিংবা অক্সিজেন সেবাই নয়। কেএম আমির হোসেনের উদ্যোগে করোনা পেন্ডামিকে অসহায় অসচ্ছল মানুষদের খাদ্য, ওষুধ এবং নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন। তার এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তার সঙ্গে একঝাঁক তরুণ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন রংধনু ব্লাড ডাইভার্সের হয়ে। এতিমখানার শিশুদের নিয়েও কাজ করছেন কেএম আমির হোসেন। কুমিল্লাসহ সারাদেশে বেশ কয়েকটি এতিমখানার শিশুদের জন্য খাবার আয়োজনসহ অসচ্ছল এতিমখানার এতিম শিশুদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগান দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ব্যক্তিগত তহবিল এবং সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের সহায়তায় এসব এতিমদের পাশে দাঁড়ান কেএম আমির হোসেন। এসব কিছুর বাইরেও সমাজের অসহায়দের আর্থিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তিনি। অসচ্ছল বাবাদের মেয়ে বিয়ে দেওয়াসহ হেন কোনো কাজ নেই যেটা মানুষের জন্য করছেন না তিনি। শুধু কুমিল্লা কিংবা এর আশেপাশে নয় বরং তার এই সামাজিক কর্মকাণ্ড দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে সমাজের বিত্তবানদের তার সাথে কাঁধে কাঁধ মেলানোর জন্য অনুরোধ করেন কএম আমির হোসেন। যতদিন বেঁচে থাকবেন যেন মানবসেবার এই দৃষ্টান্ত ধরে রাখতে পারেন সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।