সাকিব আল হেলাল/শাহ আলম।।
কুমিল্লা বরুড়ায় কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০শতক স্কুলের জায়গার মধ্যে ১৩৫ শতক বেদখল বলে দাবি করছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গনেশ বাবু ও সাবেক সভাপতি আবুল কালাম।
উপস্থিত এলাকাবাসী ও গন্যমান্য ব্যাক্তির তথ্য ও সরজমিনে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায়, ২২/০১/১৯৭৫ তৎকালীন কচুয়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে কৃষ্ণপুর নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে ৭৫ শতক সম্পত্তি মারফত ক্ববলা সৃষ্টি করে স্কুল বরাবরে দখল হস্তান্তর করেন উক্ত গ্রামেরই শিক্ষিত শিক্ষানুরাগী ছায়েদ আলীর ছেলে মৌলভী ছেরাজুল হক। তিনি সাবেক ২৭৩ হাল ৪৫২ দাগে ৫০ শতক, সাবেক ২৮৩ হাল ৪৬৭ দাগে ৫৬ শতক আন্দরে ১০ শতক এবং সাবেক ২৮২ হাল ৪৬৮ দাগে ১৫ শতক একুনে ৭৫ শতক সম্পত্তি দান করে স্কুলের নেতৃত্ব গ্রহন করে দীর্ঘদিন সুচারূপে স্কুল পরিচালনা করে উচ্চ মাধ্যমিক স্বীকৃতি অর্জনে সামর্থবান হন। অন্য ৭৫ শতক সম্পত্তির দলীল তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যায়নি। হাল বি এস জরিপ আমলে উক্ত সম্পত্তির দাতা মৌলভী ছেরাজুল হকের নামে ১৯২ নং খতিয়ানে কতিপয় সমপত্তি, ২১৯ নং খতিয়ানে সাইফুল ইসলাম গংদের নামে কতিপয় সম্পত্তি, ৩৫০ নং খতিয়ানে দুধ মিয়ার নামে কতিপয় সম্পত্তি, ১৩৭ নং খতিয়ানে আলী আশ্রাফ গংদের নামে কতিপয় সম্পত্তি, ১৯ নং খতিয়ানে আব্দুছ ছালাম গংদের নামে কতিপয় সম্পত্তি ৩০২ নং খতিয়ানে সফিকুল ইসলাম গংদের নামে কতিপয় সম্পত্তি, ১০২ নং খতিয়ানে আবুল কালাম গংদের নামে কতিপয় সম্পত্তি লিপি হইলেও অজানা কারনে ৩ নং বি এস খতিয়ানে কৃষ্ণপুর নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় কমিটির পক্ষে সেক্রেটারীর নামে মাত্র ১৫ শতক সম্পত্তি লিপি হয়। উচ্চ মাধ্যমিক স্বীকৃতি অব্যাহত রাখার জন্য সরকারী বিধিমালা অনুযায়ী স্কুলের নামে ৭৫ শতক সম্পত্তি থাকা বাধ্যতামূলক থাকায় স্কুলের স্বীকৃতি বেশ কয়েকবার কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ নিরুপায় হয়ে বিশেষ তদবিরের মাধ্যমে সাময়িক সময়ের জন্য স্বীকৃতি নবায়ন করে জোড়াতালি দিয়ে স্কুল পরিচালনা করে আসছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত বিষয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক মহলে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ করা গেছে। উক্ত সংবাদ অভিভাবক পর্যায়ে পৌঁছে গেলে তারা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ হুমকিতে আছেন বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন। সন্তাদের ভবিষ্যৎ হুমকিতে না রেখে তাদের সন্তানকে অন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়ে গিয়েছেন বলে অনেক অভিভাবক এবং অভিভাবক প্রতিনিধি স্বীকার করেছেন।
তাদের মধ্যে অভিভাবক প্রতিনিধি প্রার্থী মোঃ বকুল বক্তব্য স্বীকার করে বলেন, এই স্কুলে অনেক সমস্যা আছে। তার মধ্যে অন্যতম স্কুলের জায়গা অন্য ব্যক্তির নামে নিয়ে যাওয়া এবং অন্য ব্যাক্তি ভোগ দখল করার কারনে স্কুলের স্বীকৃতি বন্ধ হয়ে যাওয়া। যদিও জোড়াতালি দিয়ে বিভিন্নভাবে তদবির করে স্কুলের স্বীকৃতি নবায়ন করা হয়েছে অনেকবার। স্কুলের জায়গা থাকা সত্বেও এমন স্বীকৃতি বানিজ্য বন্ধ করে অচিরেই স্কুলের জায়গা স্কুলের অনুকুলে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলকাবাসী ও অভিবাবকগণ।