সৌরভ মাহমুদ হারুন,বুড়িচং।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন এর ভরসার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ” আয়া” পদে চাকুরীতে নিয়োগে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মোসাঃ রোকছানা আক্তার স্হানীয় ছয়গড়িয়া গ্রামের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব এর মেয়ে দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ ঐ বিদ্যালয়ে স্হায়ীকরনের আশায় অস্হায়ীভাবে আয়া পদে চাকুরী করে আসছে। গত ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২২ উক্ত বিদ্যালয়ের আয়া পদে নিয়োগ পরিক্ষা সম্পন্ন হয়। এতে রোকসানা আক্তার ও অংশগ্রহণ করে।
স্বামী পরিত্যক্তা রোকসানা আক্তার একমাত্র কন্যা সন্তান কে নিয়ে পিত্রালয়ে বসবাস করে। উক্ত বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি ও প্রধান শিক্ষক তাকে অল্প কিছু ভাতা দিয়ে চাকুরীটি যথাসময়ে স্হায়ী করার আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত বিদ্যালয়ে আয়া পদে চাকুরীরত রেখেছে। আয়া পদে চাকুরী দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রোকছানা আক্তারকে বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে কারসাজি করে ভিন্ন উপজেলার অন্য এক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোকসানা আক্তার অভিযোগ করে বলেন আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমাকে স্হায়ীভাবে চাকুরী দেওয়ার আশা দিয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম গত ৪ বছর যাবৎ স্বল্প ভাতা দিয়ে আসছে। আমি চাকুরী পাওয়ার আসায় স্বল্প ভাতায় চাকুরী করে আসছি। আমার অগ্রাধিকার থাকা সত্বেও দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কারসাজি করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম চাকুরী নিয়োগে আমাকে বঞ্চিত করেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার, ন্যায় ও সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার জন্য মোসাঃ রোকছানা আক্তার গত ২৪ এপ্রিল রবিবার – বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এবং উক্ত অনুলিপি সংসদ সদস্য কুমিল্লা-০৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.আবুল হাসেম খাঁন, জেলা প্রশাসক-কুমিল্লা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার-কুমিল্লা এর বরাবর প্রদান করেন।
এ নিয়ে ভরাসার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন আমার বিদ্যালয়ে গত ৪ বছর যাবৎ খন্ডকালীন আয়া পদে চাকুরী করে আসছে। সে গত নিয়োগ পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ার কারণে তার চাকরি হয়নি।
বুড়িচং উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন যেহেতু সে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং দীর্ঘ দিন যাবতন এ বিদ্যালয়ের চাকুরী করে আসছে, তার অগ্রাধিকার বেশী ছিলো। এবং উক্ত বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতির ফোনে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়য়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা খাতুন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং যথাযথ তদন্ত করে আমাকে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেছি।