সকালের কুমিল্লা ডেস্ক।।
বিএনপি থেকে অব্যাহতি নিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের মেয়র পদে দাঁড়াবেন বলে সাফ জানালেন বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
সাক্কু আরো বলেছেন, ‘আমি যতটুকু জেনেছি বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। আমি চিন্তা করেছি দলের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করব। জনগণের স্বার্থে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু এসব কথা বলেন। সাক্কু বর্তমানে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।
মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু এবারের কুসিক নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সাক্কু বলেছেন, ২০১৭ সালের নির্বাচনও সুষ্ঠু হয়নি। দুপুর ১২টার পর কোনো মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমার পক্ষে গণজোয়ার থাকায় বিপুল ভোটে পাস করেছিলাম। ইভিএমে যদি কারচুপি হয়, তাহলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন আছে, সরকারকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমি তো আর সিস্টেম পাল্টাতে পারব না। নির্বাচনে আরও প্রার্থী থাকবে, তারাও আশা করি সুষ্ঠু ভোট দাবি করবেন। জনগণ যে রায় দেবে তা মেনে নেব।
বিএনপি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করলে বিএনপি থেকে বহিষ্কার হতে পারেন। এমন প্রশ্নের জবাবে সাক্কু বলেছেন, আমি বিএনপির বাইরের কেউ না। আগে বিএনপি করেছি, সারাজীবন বিএনপি করে যাবো। বিএনপি আমার রক্তে মিশে আছে। আমি বিগত সময় বিএনপির কথা শুনি নাই, কেন শুনি নাই আমি তা বেগম খালেদা জিয়াকে বুঝিয়ে বলেছি। আমি যদি নির্বাচন না করতাম বিএনপি একটি মেয়র হারাত। এ বছরও নগরবাসীর ইচ্ছায় আবারও নির্বাচন করছি।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহারের অনুসারী কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে অংশ নিতে আপনি কতটুকু প্রস্তুত- এমন প্রশ্নের জবাবে সাক্কু বলেছেন, ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সদ্য প্রয়াত আফজল খাঁনকে হারিয়ে জয় লাভ করেছি। এখানে ভয়ভীতির কিছু নাই। জনগণ আমাকে চেয়েছে, আমি নির্বাচিত হয়েছি। সুতরাং আওয়ামী লীগের যতই হেভিওয়েট প্রার্থী আসুক আমার সমস্যা হবে না। আমার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্য জনগণের ইচ্ছায় শেষ বারের মতো মেয়র নির্বাচন করবো।
উল্লেখ্য, এবারের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুইজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারসহ ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।তবে জনসাধারণের দাবী আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কাছে
নির্বাচনী মাঠ যেন নিরপেক্ষ,
সুষ্ঠু রাখা হয়।