ঢাকাশুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের ঢাকা
  4. আজকের রাশিফল
  5. আদর্শ সদর
  6. আমাদের পরিবার
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ইসলামী জীবন
  9. উদ্ভাবন
  10. করোনা
  11. কুমিল্লা
  12. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  13. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
  14. খুলনা
  15. খেলাধুলা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুমিল্লা সিটির ২৩ নং ওয়ার্ডকে ঢেলে সাজিয়েছেন কাউন্সিলর আলমগীর

Edited by_Sakib al Helal
জুন ২, ২০২২ ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আরিফ আজগর।।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডের দুই বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন। ২৩নং ওয়ার্ডের মানুষের হৃদয়ে মিশে গিয়ে বিরল এক নজির সৃষ্টি করেছেন কুমিল্লায়। ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠনের পর ২০১২ সালে প্রথম সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ২৩নং ওয়ার্ডের মানুষের জোরালো অনুরোধে ভোটের মাঠে আসেন তিনি। তখন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ২৮৫ ভোট বেশি পেয়ে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন আলমগীর হোসেন। নির্বাচিত হয়ে, অবহেলা আর অবজ্ঞায় জর্জরিত ২৩নং ওয়ার্ডের বেহাল দশার হাল ধরেন তিনি। জনদুর্ভোগ নিত্যসঙ্গী হয়ে থাকা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ শুরু করেন নিরলসভাবে। নিজের পরিবার, পরিজন একপাশে রেখে দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করেছেন ওয়ার্ডের উন্নয়নে। ওয়ার্ডের ৭টি গ্রামে আমুল পরিবর্তন এনে দিয়েছেন। দুর্দশায় জর্জরিত ওয়ার্ডের হাল ধরে প্রথম কাউন্সিলর হিসেবে চেয়ারে বসার পর ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং নক্কর জক্কর রাস্তাগুলো মেরামতে জোরালো মনস্থির করেন তিনি। ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ওয়ার্ডের উন্নয়ন চাহিদানুযায়ী সেরকম কিছু না করতে পারলেও তাকিয়ে ছিলেন বাজেট এবং বরাদ্দের দিকে। ৫ বছরের শাসনামলে ওয়ার্ডের মানুষের হৃদয়ে গেঁথে গিয়েছেন নান্দনিক আচার ব্যবহার আর উন্নয়ন এবং সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে। প্রথম ৫ বছরে ওয়ার্ডের ড্রেনেজ আর রাস্তা সংস্কারে হাত দিয়ে ওয়ার্ডকে একটি মডেল ওয়ার্ড গঠনের প্রথম ধাপ পার করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের সিটি নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আলমগীর হোসেন। সেবার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ২৫০ ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করে পুনরায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। দ্বিতীয়বারের মতো বসলেন শাসকের চেয়ারে। সুযোগ পেলেন অসমাপ্ত কাজগুলো পরিপূর্ণ সম্পন্ন করার। দ্বিতীয় টার্মে জয়লাভের পর ওয়ার্ডের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি। দ্বিতীয়বার কাউন্সিলর হওয়ার পর ওয়ার্ডের রূপ বদলে দিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে ওয়ার্ডের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করেছেন। বাকী আছে ১০ শতাংশ কাজ।

এছাড়াও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত দেড় হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২৩নং ওয়ার্ডের জন্য ৬০ কোটি টাকার বরাদ্দ এনেছেন তিনি। একটি অত্যাধুনিক মডেল ওয়ার্ড গঠনে এই অর্থ ব্যায় করা হবে বলে জানান তিনি। দুইবারে ওয়ার্ডের অলিতে-গলিতে পানি নিষ্কাশনের সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে শতভাগ ড্রেনেজ ব্যবস্থা করেছেন, পাশাপাশি ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় সড়ক নির্মান, পুননির্মাণ করে ওয়ার্ডকে একটি গোছানো, দৃষ্টিনন্দন সর্বোপরি মডেল ওয়ার্ডে রূপ দিয়েছেন। ওই ওয়ার্ডে এখন একটিও সড়ক নেই যেখানে উন্নয়নের স্পর্শ লাগেনি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা শতভাগ সুপ্রসন্ন করে বর্ষার পানি নিষ্কাশনে অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ফলে, এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা দলমত নির্বিশেষে আলমগীর হোসেনকে গেঁথে নিয়েছেন তাদের মনের মনিকোঠায়। এসব উন্নয়নের পাশাপাশি, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কোনোরকম হয়রানি ছাড়াই মানুষের জন্মনিবন্ধন করে দিয়েছেন। সরকারের নির্ধারিত ফি এর বাইরে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করে ভোগান্তি ফেলা থেকে নিজেকে এবং ওয়ার্ড সচিবকে সচ্ছলতার সাথে পরিচালনা করেছেন, ফলে ২৩নং ওয়ার্ডের মানুষের মুখে মুখে কেবল আলমগীর হোসেন এর নাম। এর বাইরেও ওয়ার্ডের অসচ্ছল, হতদরিদ্র, মানুষের বিভিন্ন আর্থিক সহায়তার হাত কখনোই বন্ধ রাখেননি তিনি। এছাড়াও দশ বছরের শাসনামলে ওয়ার্ডের মানুষের জায়গা-জমি সংক্রান্ত অনেক জটিল সমস্যার সমাধান, আর্থিক লেনদেনের ঝামেলা, বিবাহ বিচ্ছেদসহ অনেক মামলা মোকদ্দমার জটিল সমস্যারও সমাধান করেছেন পক্ষপাতহীন ভাবে। ফলে, এ ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ আলমগীর হোসেন এর বিকল্প সেবক হিসেবে কাউকে চিন্তা করছে না। ২০১২ সালে প্রথম সিটি নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডের মানুষের জোর দাবির মুখে এবং ওয়ার্ডের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে জনগণের সেবা করার মহান ব্রত নিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হন আলমগীর হোসেন। পরপর দুইবার কাউন্সিলর হিসেবে ওয়ার্ডের জনগণ খুব কাছে পেয়েছেন যেকোনো ডাকে। তাই আসছে সিটি নির্বাচনেও তাঁর বিকল্প কাউকে ভাবছে না কুমিল্লা সিটির ২৩নং ওয়ার্ডের ৭ গ্রামের ভোটারেরা। এবারও জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে আলমগীর হোসেন জানান, অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জনগণ আমাকে আবারও বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় উপহার দেবে কোনো সন্দেহ নেই। তবে ওয়ার্ডবাসীর কাছে আমার দুটো স্বপ্নের কথা বলেছি, ২৩নং ওয়ার্ড ৭টি গ্রামের সমন্বয়ে গড়া বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করা, হাসপাতাল নির্মাণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। অপরদিকে এ ওয়ার্ডে কমিউনিটি সেন্টার না থাকায় সামাজিক অনুষ্ঠান করতে বেগ পোহাতে হচ্ছে ওয়ার্ডের মানুষের। আমি ওয়ার্ডবাসীকে বলবো আমার শেষ স্বপ্ন দুটো পূরণে আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে ওয়ার্ডের শতভাগ কাজ শেষ হবে।

উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে হ্যাট্টিক জয় হবে ২৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন এর।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।