মারুফ হোসেন, বুড়িচং।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাছান আহমেদ সুমন এর উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উদযাপন করা হয়ে। এবং বুড়িচং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষ্যে কুমিল্লা -০৫ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বুড়িচং উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.আবুল হাসেম খান এমপি,বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বুড়িচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আখলাক হায়দার এর পরামর্শে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সংগ্রামী সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এর নির্দেশনায় ৭ জুন মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বুড়িচং উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে হাজী বিল্লাল হোসেন চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ মোঃ বাছির খাঁন এর নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
৬ দফা বাংলা স্বাধিকার আন্দোলনের সাথে সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের দৃঢ় সেতুবন্ধ। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফ্রেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ” ৬ -দফা দাবি”পেশ করেন। ছয় দফা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলতেন-সাঁকো দিলাম, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার উন্নীত হওয়ার জন্য।
এই দিন বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা আদায়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া,সফিক ও শামসুল হক সহ ১১ জন শহীদ হন।শহীদের রক্তে ৬ আন্দোলন স্ফুলিঙ্গের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পরে। সর্বত্র রাজপথে নেমে আসে বাংলার মুক্তিকামী জনগণ।
বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্যে ও ৬ দফার প্রতিটি দফার পর্যালোচনা ছিল।পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ও মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে যুদ্ধ পরিচালনা এবং দেশের অভ্যন্তরে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় ৬ দফার ভিত্তিতে।স্বাধীন – স্বার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ৬- দফার ভূমিকা অপরিসীম। তাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ৭ জুন ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসকে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করে আসছে।