মারুফ হোসেন,বুড়িচং।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা ইঞ্জিঃ মোঃ বাছির খান কে জড়িয়ে গত দুইদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও অনলাইনে মিথ্যা অপপ্রচার, চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ৮ জুন বুধবার বিকেলে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইঞ্জিঃ বাছির খান গণমাধ্যমকে বলেন গত ৬ জুন সন্ধ্যায় সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জালাল ও বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজ শাখার ছাত্রদলের সভাপতি সাইফ উদ্দিন সবুজের নেতৃত্বে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোবারক হোসেনের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়। এ হামলার সঙ্গে স্হানীয় দুই থেকেতিন জন আওয়ামী লীগ নেতা জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন আমাকে সিএনজি চাঁদাবাজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কিন্তু আমি সিএনজি স্ট্যান্ড এর সাথে কোনোভাবেই জড়িত নই। আমার জানামতে সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি জালাল ও ছোট জালাল সিএনজি স্ট্যান্ড অন্যের নামে ইজারা নিয়ে চাঁদাবাজি করছে। আমি যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেনের ওপর হামলার ঘটনাটি মীমাংসা করতে গেলে প্রতিপক্ষ জালাল ও ছোট জালাল এবং ছাত্রদলের সবুজ সহ আরো অনেকে মোবারকের উপর হামলা চালায়। এই নিয়ে আমি প্রতিবাদ ও মীমাংসা করতে গেলে আমাকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ, অপপ্রচার ও মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপজেলার বসুন্ধরা চত্বরে প্রকাশ্যে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দমকি দিয়েছে। এতে আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। তাই আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সাহায্য ও সহযোগিতা চাচ্ছি। তিনি আরো উল্লেখ করেন এই বিষয়গুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত সাপেক্ষে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে বিচার বিশ্লেষণ করবেন। এবং আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। তবে ২২৯৮ নং লাইসেন্সের মাধ্যমে রামপুর সিএনজি স্ট্যান্ডের ইজারা চালিয়ে আসছে মোবারক হোসেন।মোবারক হোসেন তার রামপুর সিএনজি স্ট্যান্ড চালাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা এবং প্রতিবন্ধকতার শিকার হন। ঐ ঘটনার দিন এই বিষয়গুলো আমাকে অবগত করার জন্য আমার অফিসে আসে মোবারক হোসেন। তখন আমি তাকে তাকে বুঝিয়ে বলি যে তোমার সঙ্গে ঝামেলা করবে, তুমি বাড়ি চলে যাও,আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা খাতুন এর সাথে কথা বলবো। বাড়ি যাওয়ার পথে সিএনজি স্ট্যান্ডে উপজেলা-সদর বসুন্ধরা চত্বরে থাকা মোহন, সবুজ ও জালাল সিএনজি থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে ফজলুর রহমান মেমোরিয়াল কলেজ অফ টেকনোলজি ভেতরে নিয়ে মারধর করে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে আমি আবার ঘটনাস্থলে যাই এবং ঘটনাটি মীমাংসা করার চেষ্টা করি।
সাবেক ছাত্রনেতা ইঞ্জিঃ বাছির খান আরও বলে এই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেছে দেখতে পাবেন আমার ভূমিক। সাংবাদিক ও প্রশাসনকে জানিয়ে রাখি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যাতে প্রকৃত ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসবে। সেই সাথে যারা আমাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়পছি। আমার নামে অপপ্রচার, মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।তিনি বলেন উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে হত্যার হুমকিদাতা দের বিরুদ্ধে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।