এইচ.এম.তামীম আহাম্মেদ।।
সিলেটের সুনামগঞ্জে পানি বন্ধি এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে গত ২৪ জুন রোজ শুক্রবারে কয়েক লক্ষাধিক টাকা আর্থিক সহায়তা এবং ত্রাণ প্রদান করলেন; নুরুল হক এন্ড হাজেরা ফাউন্ডেশন এবং রমনা ইন্টারন্যাশনাল মটরস।
উপস্থিত ছিলেন ; নুরুল হক এন্ড হাজেরা ফাউন্ডেশন এবং রমনা ইন্টারন্যাশনাল মটরস এর কর্ণধার মোঃ কামরুল হাসান রফিক, অত্র দুটি প্রতিষ্ঠানের আরেকজন কর্নধার মোঃ মফিজুল ইসলাম, নুরুল হক এন্ড হাজেরা ফাউন্ডেশনের কার্যকারী সদস্য মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মোঃ সাজ্জাদ আকবর, মোঃ ফারুক হোসেন, গাড়ীর ড্রাইভার মোঃ ইউনূস মিয়া সহ সাংবাদিক তামীম আহাম্মেদ।
সিলেটে বন্যায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা সুনামগঞ্জে গত ২৩ জুন রোজ বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় কুমিল্লা থেকে রওনা হলে শুক্রবার সকাল ৮ টায় সুনামগঞ্জ শহরে পৌঁছায় নুরুল হক এন্ড হাজেরা ফাউন্ডেশন সদস্যরা, সুনামগঞ্জ শহর থেকে টলার যোগে ২ ঘন্টার নদী পথ অতিক্রম করে হাসাউরা গ্রামে অবস্থান করে টিমটি। পুরো গ্রাম ঘুরে খুবই হতদরিদ্র মানুষের মাঝে আর্থিক সহয়তা প্রদান করেন। পরবর্তীতে গ্রাম থেকে বের হয়ে সুনামগঞ্জ শহরে ডুকে সেনাবাহিনীর হাতে শতাদ্বিক মানুষের জন্য চাল,ডাল,তৈল, পেয়াজ ইত্যাদি সামগ্রীর লক্ষাদ্বিক টাকা সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসারের হাতে তুলে দিয়ে কুমিল্লা আসার রাস্তায় শুয়ে থাকা বানবাসী এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ঘুরে ঘুরে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
এ সময় নুরুল হক এন্ড হাজেরা ফাউন্ডেশন এবং রমনা ইন্টারন্যাশনাল মটরসের কর্ণদ্বার মোঃ কামরুল হাসান রফিক বলেন; মানসিক প্রশান্তি ও আত্মীক তৃপ্তি শুধু মাত্র ট্যুর কিংবা আনন্দ উল্লাস নয়, অসহায় অবস্থায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেও পাওয়া যায় আত্মীক প্রশান্তি। সে লক্ষ্যেই আজ সিলেটের মাটিতে পা দেয়া এর আগে কখনও এমন গুচ্ছ গ্রামে যাওয়া হয় নি। আমাদের পরিবার সবসময় চিন্তা ও চেষ্টা করে কিভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। কোন এক গায়েক তার গানের ভাষায় বলেছিল ‘সকাল বেলার ধনীরে তুই, ফকির সন্ধ্যা বেলা’ আসলেই যখনই অসহায় কাওকে দেখি তখনই এ লাইনটুকু মনে পড়ে যায়। তাছাড়াও দুনিয়ায় আছি আর কতদিন! বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষের গড় আয়ূ ৬০ বছর। তারও নেই গ্যারান্টি! এ দানের উসিলায় মহান রাব্বে কারীম যেন গুনাহগুলো মাফ করে দেন তাই যত বছর দুনিয়ার জমিনে বাচিয়ে রাখেন আমি সহ আমার পরিবার অসহায় মানুষের পাশে থাকার সর্বচ্চো চেষ্টা করব “ইনশাআল্লাহ”
কার্যকারী সদস্য মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেন; আজ সিলেট না আসলে বুঝতাম’ই না,অসহায়ত্ব মানুষকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যায়। আমাদের এলাকার বড়/ ছোট ভাইয়েরা মিলে লক্ষাধিক টাকার কাছাকাছি, মানুষের ধারে ধারে গিয়ে তুলেছিলাম। সেই টাকাগুলো সেনাবাহিনী এবং রাস্তায় শুয়ে থাকা বানবাসী মানুষ ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে দিতে পেরে সত্যি খুব শান্তি লাগছে। পাশাপাশি মনে হচ্ছে যদি আরও তুলতে পারতাম হয়তো আরও কয়েকটা পরিবারকে দিতে পারতাম। আসলেই অসহায় অবস্থায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ভাগ্যের ব্যাপার। আল্লাহ তায়ালার নিকট সর্বাবস্থায় ফরিয়াদ করি সবসময় যেন কোন না কোনভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে পারি। (আমীন)