ঢাকাশনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের ঢাকা
  4. আজকের রাশিফল
  5. আদর্শ সদর
  6. আমাদের পরিবার
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ইসলামী জীবন
  9. উদ্ভাবন
  10. করোনা
  11. কুমিল্লা
  12. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  13. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
  14. খুলনা
  15. খেলাধুলা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

”হজ্জ ও কোরবানির গুরুত্ব ”

Edited by_Sakib al Helal
জুলাই ১, ২০২২ ৪:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হাফেজ মাওঃ নূর হোসেন, ফেনী।।
ঈমানের দাবি যদি কোরবানি হয়
সে দাবি পুরণে আমি তৈরি থাকি যেন
ওগো দয়াময় আমার ওগো দয়াময়।
”কোরআনের আয়াত সমূহ ”
সূরা বাকারা আয়াত ১২৫,১৫৮,১৯৭
সূরা ইমরান আয়াত ৯৭, সূরা হজ্জ আয়াত ২৯,৩৪-৩৫,৩৬, সূরা মায়েদা আয়াত ২৭,সূরা আনআম আয়াত ১৬২, সূরা সফফাত আয়াত ৯৯-১০৮, সূরা কাউসার আয়াত ২।তাফসীর দেখুন তাফসীরে তাফহীমূল কোরআন, নুরুল কোরআন, মারেফুল কুরআন।
”প্রিয় রাসুলের প্রিয়বাণী ”
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত রাসুল সাঃ এরশাদ করেন, আল্লাহর ইবাদাতের জন্য জিলহজ্জের প্রথম দশ দিনের চেয়ে অধিক উত্তম আর কোন দিন নেই। উহার প্রতিদিনের রোজা একবৎসর রোজার সমকক্ষ এবং প্রতি রাতের এবাদত শবে কদরের এবাদতের সমতুল্য সওয়াব রাখে।তিরমিজি,মিশকাত,ইবনে মাজা।সুতরাং ১লা জিলহজ্জ থেকে ৯ ই জিলহজ্জ পর্যন্ত প্রতি দিন রোজা রাখা ও প্রতি রাত্রে এবাদতে মশগুল হওয়া উচিৎ।
হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত রাসুল সাঃ এরশাদ করেন, আরাফার দিনের রোজা এক হাজার দিনের রোজার সমকক্ষ সওয়াব। তরগীব প্রথম খন্ড ১৮৭।
আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজ্জ, ওমরাহ কিংবা জিহাদের উদ্দেশ্যে বের হ’ল এবং রাস্তায় মৃত্যুবরণ করল, আল্লাহ তার জন্য পূর্ণ নেকী লিখে দিবেন’।[32]
আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহর মেহমান হ’ল তিনটি দল- আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধকারী, হজ্জকারী ও ওমরাহ্কারী’।[26]।
সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন কোন মুসলিম তালবিয়া পাঠ করে তখন তার ডান ও বামে পাথর, বৃক্ষরাজি, মাটি সবকিছুই তার সাথে তালবিয়া পাঠ করে। এমনকি পৃথিবীর এ প্রান্ত হ’তে ঐ প্রান্ত পর্যন্ত (তালবিয়া পাঠকারীদের দ্বারা) পূর্ণ হয়ে যায়’।[18]
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘এক ওমরাহ অপর ওমরাহ পর্যন্ত সময়ের (ছগীরা গুনাহের) কাফফারা স্বরূপ। আর জান্নাতই হ’ল কবুল হজ্জের একমাত্র প্রতিদান’।
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াজূজ ও মাজূজ বের হওয়ার পরও বায়তুল্লাহর হজ্জ ও ওমরাহ পালিত হবে’।[6] হজ্জ এমন গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যে, পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতেও তা সম্পাদন করতে হয়। অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন,لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى لاَ يُحَجَّ الْبَيْتُ ‘বায়তুল্লাহর হজ্জ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না’।
৫৫৪৬
৫১৪৮। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের আগে যবাহ করল সে নিজের জন্যই যবাহ করল। আর যে ব্যাক্তি সালাত আদায়ের পর যবাহ করল। তার কুরবানী পূর্ন হল এবং সে মুসলিমদের নীতি অনুসরণ করল।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, ‘সামর্থ্য থাকা সত্তে¡ও যে ব্যক্তি কুরবানী করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়’। (সুনানু ইবনু মাজাহ) রাসূলূল্লাহ (সা.) আরো বলেন, ‘কুরবানীর দিন রক্ত প্রবাহিত করা (যবেহ করা) অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় মানুষের কোনো আমল হয় না।’ (সুনানু তিরমিজি)।
ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রুক্নে ইয়ামানী ও হাজারে আসওয়াদ (কালো পাথর) স্পর্শ করবে, এ দু’টি তার সমস্ত গোনাহ ঝরিয়ে দিবে’।[39]
”সংক্ষিপ্ত ইতিহাস”
আল্লাহ পাক হজ্জের নিয়ম চালু করলেন হযরত ইসমাঈল আঃ এর মা হযরত হাজরা আঃ মাধ্যমে এবং হজ্জের গুরুত্বপূর্ণ সকল আমল হযরত ইবরাহীম আঃ আর ইসমাইল আঃ এর মাধ্যমে আল্লাহ পাক চালু করেন।
তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরাহ পূর্ণ করো। কিন্তু যদি তোমরা বাধা পাও তবে সহজলভ্য কোরবানি করো। আর কোরবানি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মুণ্ডন করো না। কিন্তু অসুস্থতা বা মাথায় কোনো রোগের কারণে আগেই মস্তক মুণ্ডন করে ফেললে ‘ফিদিয়া’ বা প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে রোজা রাখবে, কোরবানি বা সদকা দেবে। নিরাপদ পরিস্থিতিতে কেউ হজের আগে ওমরাহ করে উপকৃত হতে চাইলে সে সহজলভ্য কোরবানি করবে। কিন্তু যদি কেউ কোরবানির কোনো পশু না পায়, তবে সে হজের সময় তিন দিন ও ঘরে ফিরে সাত দিন, এভাবে মোট ১০ দিন রোজা রাখবে। মসজিদুল হারামের কাছে পরিবার-পরিজনসহ বাস করে না এমন লোকদের জন্য এ নিয়ম।
মনের পশু দাও কোরবান
কবুল করবেন আল্লাহ মহান
তাকওয়া ছাড়া হবেনা কবুল
আল্লাহর রাহে যতো কোরবান।
হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম রাঃ হতে বর্ণিত সাহাবায় কেরাম রাঃ রাসুল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া ইয়া রাসুলুল্লাহ! কুরবানি কি জিনিস? তদুত্তরে রাসুল সাঃ এরশাদ করেন, ইহা তোমাদের পিতা ইবরাহীম আঃ এর সুন্নাত ও স্মৃতি। পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, উহাতে আমাদের জন্য কোন লাভ আছে কি?প্রতি উত্তরে রাসুল সাঃ বললেন, কুরবানী পশুর প্রতিটি লোমের বদলায় এক একটি নেকী পাবে।পুনরায় সাহাবায় কেরাম রাঃ আরজ করলেন ইয়ারাসুল্লাহ উট দুম্বার পশমের কি হুকুম? উত্তরে বললেন উহাদের ও প্রতিটি পশমের পরিবর্তে এক একটি করে নেকী পাবে।মিশকাত।
কুরবানীতে মুমিনের জন্য অসংখ্য শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে। ১। বিশ্বব্যাপী তাওহীদ প্রতিষ্ঠা: মহান আল্লাহর তাওহীদ বা একত্ববাদ বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা করা কুরবানীর অন্যতম শিক্ষা। কারণ, একমাত্র বিশ্বজাহানের মালিক মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে, তার নামেই পশু কুরবানী দেয়া হয়। জগতের অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা যেখানে তাদের দেব-দেবির নামে কুরবানী করে, সেখানে মুসলিম সমাজ কোরবানী দেয় একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে।
২। আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আত্মসমার্পণ: কুরবানীর গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আত্মসমার্পণ। আল্লাহর সকল আদেশের সামনে বিনা প্রশ্নে মাথানত করে দেয়াই হল পূর্ণ আত্মসমার্পণের সমুজ্জ্বল বহিঃপ্রকাশ। ঈদুল আযহার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে আমরা হযরত ইবরাহীম (আ.) ও তদ্বীয় পুত্র ঈসমাইল (আ.)এর এরূপ পুর্ণ আত্মসমার্পণের চিত্রই পবিত্র কুরআনুল কারীমে দেখতে পাই।
৩। ইখলাস বা একনিষ্ঠতা: সকল কাজে ইখলাস বা একনিষ্ঠতাই ইসলামের মহান শিক্ষা। ইখলাস ছাড়া পরকালীন কোনো কাজই আল্লাহতায়ালা কবুল করেন না।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।