স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হয়ে খুন হন স্বামী মনির হোসেন। কুমিল্লা ডিবি পুলিশ রহস্য উদঘাটন করে আসামি নূর আলমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
নিহত মনির হোসেন (৩৫) দাউদকান্দি উপজেলার পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের সিন্দি (ঢালী বাড়ি) এলাকার মৃত. আলাউদ্দিনের ছেলে।
ঘাতক নুর আলম মিয়া (২৪) দাউদকান্দি উপজেলার তুজারভাঙ্গা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, চলতি বছরের গত ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় সবজি ব্যবসায়ী মোঃ মনির হোসেন (৩৫) সবজি কেনার উদ্দেশ্যে নিমসার বাজারে যান। পরদিন অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর জরুরী সেবা ৯৯৯ হতে সংবাদ পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশ উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের পরিহল পাড়া চেয়ারম্যান বাড়ির রাস্তার ১০০ গজ পূর্বদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। প্রাথমিকভাবে মৃতদেহের মাথায়, মুখে ও নাকে অনেকগুলো রক্তাক্ত গভীর কাটা জখম দেখা যায়। পরবর্তীতে পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে মৃতদেহটি সনাক্ত করেন এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ মর্গে পাঠান। এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর নিহত মনির হোসেনের মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার-১২।
এ হত্যাকান্ডের পর মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করেন জেলা গোয়েন্দা কুমিল্লা। তদন্ত কালে দেখা যায়, ভিকটিম মনির হোসেনের স্ত্রী নাজমা’র সাথে ড্রাইভার নুর আলম মিয়ার সাথে গত দেড় বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। এটা নিয়ে ভিকটিমের সাথে স্ত্রী নাজমার মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে ভিকটিমের স্ত্রী নাজমা স্বামীর বাসা থেকে দুই ছেলেকে নিয়ে তার বোন বিউটির বাসায় চলে যায়। সেখানে ঘাতক নুর আলম এর সাথে নাজমার সম্পর্ক আরো গভীর হয়। পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে কথা বলে নাজমা পুনরায় বাচ্চাদের নিয়ে তার স্বামীর বাসায় ফিরে আসে। তখন ঘাতক নুর আলম ভিকটিমের স্ত্রী নাজমাকে তার কাছে চলে আসতে বলে। নাজমা স্বামীর ঘর ছেড়ে আর কোথাও যাবে না জানালে ঘাতক নুর আলম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত ৪ অক্টোবর ঘাতক নুর আলমকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদকালে উক্ত রহস্য উদঘাটন হয়।
গ্রেফতার হওয়া আসামি নুর আলমকে বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫ অক্টোবর আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন এবং রিমান্ডের আবেদন করেন।