ঢাকাশনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের ঢাকা
  4. আজকের রাশিফল
  5. আদর্শ সদর
  6. আমাদের পরিবার
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ইসলামী জীবন
  9. উদ্ভাবন
  10. করোনা
  11. কুমিল্লা
  12. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  13. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
  14. খুলনা
  15. খেলাধুলা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

”য়ার আগমনে পৃথিবী আলোকিত হলো”

Edited by_Sakib al Helal
অক্টোবর ৭, ২০২২ ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আজকের পবিত্র জুমার খুতবা।

আলোচকঃ

হাফেজ মোঃ নূর হোসেন,ফেনী

 

রাসুলের মত আর ফুল ফুটেনি
রাসুলের মত আর চাঁদ উঠেনি
রাসুলের মত নেই বিশ্বাসী প্রাণ
হৃদয়টা ভরে দেয় যার মধু খে
যার প্রতি ভালোবাসা আজ ত্রুটি।
”মহাগ্রন্থের মহাবানী”
সূরা ইমরান আয়াত ৩২,৮১
সূরা আহযাব আয়াত ৬,২১,৪৫,৪৬
সূরা আম্বিয়া আয়াত ১০৭ নাহল ৮৯
সূরা মায়েদা আয়াত ১৫,১০৯,১১৭
সূরা ক্বলাম আয়াত ৪ ইউনুস ৫৭,৫৮
তাফসীর হিসাবে সহায়ক তাফহীমূল কোরআন, নুরুল কোরআন, মারেফুল কোরআন।
”রাসুল সাঃ প্রিয়বাণী”
রাসুল (সাঃ) দুনিয়াতে তশরিফ আনার সাথে সাথে ক্বাবা শরীফ মাকামে ইব্রাহীমের দিকে ঝুঁকে পড়ে রাসুল (সাঃ)-এর বেলাদাতের তাজিম করেছিল। (মাদারেজুন্নবুয়ত)।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন: ‘আমি প্রেরিত হয়েছি মানবজাতির চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনের নিমিত্তে।’ (তিরমিজি শরিফ)।
কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ, মাৎসর্য নিয়ন্ত্রণ করা। প্রিয় নবী (সা.) নিজে আরও বলেন: ‘আমি আসলে শিক্ষকরূপেই প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসলিম)। তাই তিনি হলেন বিশ্বশিক্ষক।
রাসুল সাঃ বলেন তোমাদের কোন ব্যক্তি মুমিন হতে পার না যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা তার সন্তান -সন্ততি সমস্ত মানুষের চাইতে প্রিয় না হই।বুখারী।
রাসুল আকরাম সাঃ হযরত আলী রাঃ কে বলেন
হে আবুল হাসান! এ মর্যাদা ততক্ষণ অক্ষুন্ন থাকবে যতক্ষণ আমরা আল্লাহর আনুগত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবো।কাজেই আমার স্ত্রীদের মধ্য থেকে যে কেউ আমার পরে তোমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আল্লাহর নাফমানি করবে তাকে তুমি তালাক দিয়ে দেবে এবং তাদেরকে মুমিনদের মায়ের মর্যাদা থেকে বহিষ্কার করবে।
হযরত আয়েশা রাঃ বলেন রাসুল মের চরিত্র হলো পুরা কোরআন শরীফ বুখারী।
”প্রিয় ইতিহাস ”
তুমি আসলে যখন এই দুনিয়াই
এই দুনিয়াই বদলে গেলো
মরুভূমির ধুসর বুকে
যেন শ্রাবন বৃষ্টি এলো।
যার আলোচনা পৃথিবী সৃষ্টির হাজার বছর আগে শুরু হলো।তার পর রুহের জগতে যার আলোচনা হলো সোয়ালক্ষ পয়গাম্বরের রুহের সামনে যার নুবয়াত সম্মান নিয়ে আলোচনা হলো।যার সম্মান দুনিয়া পর্যন্ত না আরশ পর্যন্ত। যাকে খুশি করার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পর্যন্ত ব্যস্ত এবং ফেরেস্তাকুল তার স্মরণে দরুদ পড়ে। যার পদচারনে আকাশ, জমিন,জান্নাত, জাহান্নাম, মানবকুল,সকল সৃষ্টিকুল সবায় ধন্য হলো আলোকিত হলো খুশিতে সবায় মাতোয়ারা হয়েছিল। ব্যক্তি জীবন থেকে নিয়ে আন্তর্জাতিক জীবন পর্যন্ত একজন ব্যক্তিকে অনুসরণ অনুকরণ করলে ইহকাল পরকাল দুইকাল নিঃসন্দেহে সফলতা লাভ করবে।যার আমগন নিয়ে সকল ধর্মের লোকেরা গবেষণা করছে যেমন এইচ হার্ট আমেরিকার একজন লেখক গবেষক যিনি পৃথিবীর প্রথম আদম আঃ থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবন নিয়ে গবেষণা করে একশত মনীষাদের জীবন নামক একটি বই প্রকাশ করেন সে গবেষণা আর বইর একশত মনীষার তালিকায় প্রথম নাম হলো আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাঃমের নাম এই নামের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এইচ হার্টকে ফাঁসি দেয় তার পরে ও এইচ হার্ট বলেন তিনি সত্য নবী তার আগমনে পৃথিবী আলোকিত তার অবদান বিশ্বমানুষের জন্য অস্বীকার করার নই স্বীকার করার মত। খ্রিস্টানদের আরো একজন গবেষক তিনিও এক সেমিনারে বলেন যে একজন মানুষ শান্তি, সফলতা,বিজয়,লাভ করার জন্য মুসলমানদের শেষ নবী মুহাম্মাদ সাঃ মে যথেষ্ট।
মক্কার ঘরে ঘরে তিনি আলামিন
মদীনায় যার স্মৃতি আজো অমলিন
কথা কাজে অমায়িক ছিলেন নবী
জীবন্ত কোরআনের প্রতিচ্ছবি।
তার সঙ্গ যে লাভ করেছে সে তার রবের সঙ্গ লাভ করেছে তার জীবন জান্নাতিময় হয়েছে। যেমন ১০ জন সাহাবী দুনিয়াই থাকা অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছে।যার আলোয় আলোকিত হলো পরিবার জীবন, সমাজ জীবন, রাষ্ট্র জীবন, আন্তর্জাতিক জীবন, যার পুরা জীবন কোরআন তার চরিত্র পুরা কোরআন। যার বাস্তব ছবি ফুটলো হযরত আবু বকর,ওমর,ওসমান,আলী রাঃ মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল যাকে সারা বিশ্বের জন্য রহমত করে,আদর্শ করে,নেতা করে,আলোকিত করে,সুসংবাদ করে পাঠালেন।যিনি ছোটদের আদর্শ, বড়দের আদর্শ, নানার আদর্শ, বাবার আদর্শ, শশুরের আদর্শ, স্বামীর আদর্শ, সকল মানুষের সকল দিকের সকল সেক্টরের আদর্শ বিশ্বনবী সকল নবীর মাথারমুকুট আল্লাহর হাবিব সকল উম্মতের চোখের মণী কলেজা জনাব মুহাম্মাদ মুস্তাফা আহম্মেদ মুস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
রাসূলুল্লাহ(আলাইহিস সালাম) এঁর আগমনের সময় নূর বের হওয়ার হাদীস সহীহ ও এর দ্বারা তাঁর নূরের তৈরি।কয়েক জন সাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে যে,রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-“আঁমি আঁমার (জাতির) পিতা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এঁর দুয়া,ও ঈসা (আলাইহিস সালাম)এঁর সুসংবাদের ফসল।আঁমার মা আঁমাকে প্রসব করার সময় দেখলেন যে, কেমন যেন তাঁর পেট থেকে একটি নূর বের হল যা দ্বারা সিরিয়া আলোকিত হয়ে গেল(অন্য রেওয়াতে আছে, সিরিয়ার প্রসাদ গুলো আলোকিত হয়ে গেল)”।
রাসুল (সাঃ)-এর রওজা শরীফে ৭০ হাজার ফেরেস্তা আকাশ হতে মিছিল সহকারে দৈনিক ২ বার ফজরে ও আছরে আসেন এবং সালাম পেশ করতে থাকে। কিয়ামত পর্যন্ত এ নিয়ম চলতে থাকবে।
হে রাসুল (সাঃ)) বলুন-আল্লাহর অনুগ্রহে এবং তাঁর দয়া, সুতরাং তাদের আনন্দিত হওয়া উচিত। (সুরা ইউনুছ-৫৭)। তাই স্রষ্টার সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব রাসুল (সাঃ)-এর শুভাগমন। অন্যত্রে ইরশাদ হচ্ছে-“হে রাসুল (সাঃ) আপনি বলুন, আল্লাহ পাকের ফজল ও রহমত প্রাপ্তিতে তারা যেন আনন্দ প্রকাশ করে; তোমাদের পুঞ্জিভূত সম্পদ অপেক্ষা এটি কত উত্তম!” (সুরা ইউনুছ-৫৮)। “নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে এক উজ্জ্বল জ্যোতি (নূর) ও সুস্পষ্ট কিতাব তোমাদের নিকট এসেছে। (সুরা মায়েদা-১৫)। কোরআনের অমিয় বাণী নিয়ে যিনি এ ধরায় আগমনে আমাদের ধন্য করেছেন, তাঁর আগমনে আনন্দোৎসব করা উম্মতে মোহাম্মদীসহ সকল ধর্ম-বর্ণের, জাতির জন্য অবশ্য কর্তব্য।
ঈসা (আঃ)-এর পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত এ ধরায় নবি রাসুলের আগমন ঘটেনি। এমতাবস্থায় বিশ্বের সর্বত্রই অত্যাচার-অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা ও সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। এহেন চরমতম মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগে আবির্ভূত হলেন মানবতার মুক্তির দিশারী রাসুল (সাঃ)। তারপর থেকে পৃথিবীর সমস্ত জমিনই মসজিদে পরিণত হল।
লেখক হাফেজ মাওলানা নুরহোছাইন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।