ঢাকাশুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের ঢাকা
  4. আজকের রাশিফল
  5. আদর্শ সদর
  6. আমাদের পরিবার
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ইসলামী জীবন
  9. উদ্ভাবন
  10. করোনা
  11. কুমিল্লা
  12. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  13. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
  14. খুলনা
  15. খেলাধুলা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

”আল্লাহর রঙে জীবনকে রাঙাও‌”

Edited by_Sakib Al Helal
ডিসেম্বর ২, ২০২২ ৪:২৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আজকের পবিত্র জুমার আলোচনা ।

আলোচকঃ হাফেজ মাওলানা মোঃনূর হোসেন

আমার এই জীবন

তোমার রঙে
দাও রাঙিয়ে দাও
হেরার আলোয় পাপের কালো
নাও মুছিয়ে নাও।
”মহাবিশ্বর বিস্ময় কুরআন”
সুরা বাকারা আয়াত ১৩৮,১২৮
সুরা ইমরান আয়াত ১৯,৮৫
সুরা মুলুক আয়াত ২, মায়িদা ৫
সুরা আনআম আয়াত ১৬২,১৬৩
সুরা বাকারা আয়াত ১৫৫,১৫৬
সুরা আলা আয়াত ১৪ নাহলে ৯০
সুরা বাইয়ানা আয়াত ৮ তাহরীম ৬
সুরা সোয়াদ ৭৫ সাজদাহ ৯
তাপসী হিসাবে তাফহীমুল কুরআন,মারেফুল কুরআন,
ইবনে কাসীর,তাফসীরে জ্বালালাইন।
”রাসুল সাঃ প্রিয়বানী”
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর রং ধারণের দিক থেকে আমার যুগের মানুষই শ্রেষ্ঠ।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
রাসুল সাঃ বলেন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট ওই ব্যক্তি, যার কটুবাক্যের ভয় মানুষ তাকে কিছুই বলেনা বুখারী।
হযরত আয়েশা রা বর্ণনা করেন রাসুল সাঃ ইরশাদ করেন মুমিন বান্দারা উন্নত চরিত্রের দ্বারা গোটা রাত নামাজ আদায়কারী এবং সারা বছর রোজা পালনকারীর মর্যাদায় অতি সহজে পৌছে মেতে পারে।আবু দাউদ।
রাসূল (সা.)ও একই কথা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হও’।
”আরো প্রিয় কিছু বাণী”
তোমার রিযিক খেয়ে পড়ে
করছি হাজার পাপ
পাপের বোঝা মাথায় নিয়ে
বাড়ছি অনুতাপ
অশ্রু ঝরাও মিনতি ওগো
ক্ষমা করে দাও।
আল্লাহ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং
জীবনযাপনের স্টাইলও আল্লাহর মর্জিমতো হওয়া চাই।
মন যেমন চায় তেমন চলার মধ্যে প্রকৃত অর্থে কোনো সুখ ও আনন্দ নেই। আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী চললেই প্রকৃত শান্তি ও তৃপ্তি মেলে। জীবনকে শুধু আল্লাহর রঙে রাঙিয়ে নেওয়াই যথেষ্ট নয়। মুখেও উচ্চারণ করা ও অন্যদের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা করা। তবেই জীবনে এর প্রভাব গভীর হবে এবং অন্যরাও এতে উৎসাহী হবে। সবসময় আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা
এবং অন্যদেরকেও আল্লাহর ইবাদতের কথা বলা।
বিচিত্র এই পৃথিবীতে সবই কেমন অপরূপ রূপময়। অপরূপ রঙের খেলা যিনি খেলছেন তিনি আর কেউ নন। আমাদের স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা। রঙের কারিগর আল্লাহ মানুষের জীবন রাঙাতে মানুষের জন্য নাজিল করেছেন আল-কোরআন। মানুষ এ কোরআন পড়বে, বুঝবে এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করবে— এ তিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিবর্ণ মানুষ সেজে উঠবে বর্ণিল সাজে, কোরআনের সাজে। এদিকে ইঙ্গিত করেই আল্লাহ বলেছেন, ‘সিবগাতাল্লাহি ওয়ামান আহসানু মিনাল্লাহি সিবগাহ!’ অর্থাৎ ‘জীবনকে আল্লাহর রঙে রাঙাও। আল্লাহর রং থেকে আর কোন রং বেশি রঙিন?’ আল্লাহপাকের এই উদাত্ত আহ্বান গায়ে মেখেছিলেন স্বর্ণযুগের মানুষরা। অর্থাৎ সাহাবি, তাবেয়ি এবং তাবে তাবেয়িনরা। তাই তো কেয়ামত পর্যন্ত তারাই মানুষের হেদায়াতের নমুনা হয়ে বেঁচে থাকবেন। এদের উদ্দেশ্যেই আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘মুহাজির এবং আনসারদের মধ্যে যারা ইমানের রং ধারণের দিক থেকে এগিয়ে আছে এবং যারা আত্মায় ইমানের রং ধারণ করে তাদের অনুসরণ করছে— তাদের সবার ওপর আল্লাহ সন্তুষ্ট। এবং তারাও আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট।’ (সূরা তাওবাহ : ১০০।) রসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর রং ধারণের দিক থেকে আমার যুগের মানুষই শ্রেষ্ঠ।’ (বুখারি ও মুসলিম)। আল্লাহর রঙে রঙিন মুসলমান যখন দাওয়াতের কাজে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ল, তখন তারা মানুষের চাকচিক্যময় জীবনাচার দেখে নিজের আত্মার রঙের কথা ভুলে গেল। লোভ, হিংসা, গীবত, ক্ষমতালিপ্সার মতো আত্মবিধ্বংসী রঙগুলো কীভাবে যেন মুসলমান গায়ে মেখে আত্মায় ধারণ করে নিল। সেই থেকে ইসলামের রং ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেছে মুসলমানের আত্মা থেকে। পৃথিবীজুড়ে আল্লাহর রঙে রঙিন মানুষের আজ বড় অভাব। আত্মার রং ভুলে পৃথিবীতে ধুঁকে ধুঁকে মরছে মুসলমান। অথচ তাদের কোনো হুঁশই হচ্ছে না, আত্মার ডাক্তারের খোঁজ করছে না কেউ। এরা সামান্য অসুস্থ হলেই দেশ-বিদেশে চিকিৎসার জন্য ছুটে যাচ্ছে। একটু ভালো থাকার জন্য, ভালো পরার জন্য কত ধরনের ফন্দির-ফিকিরই না করছে তারা। রাতে ভালো ঘুম হওয়ার জন্য অথবা কোথাও আরামে বসার জন্য মশা যেন কামড়াতে না পারে— এ কারণে তাদের কত চেষ্টা-প্রচেষ্টা। অথচ আল্লাহকে পাওয়ার জন্য কোনো প্রচেষ্টা নেই তাদের। বলছিলাম বিবর্ণ আত্মার মুসলমানদের কথা। জন্ম থেকেই তিলে তিলে তাদের আত্মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে ভাবনা নেই তাদের। মুসলমানের যত ভাবনা এ মাটির দেহটাকে নিয়েই। এ দেহকে সাজাতে, এ দেহকে রাঙাতে তাদের নিরন্তর প্রতিযোগিতা।
এক দরিদ্র প্রজা বাদশার দরবারের প্রবেশ পথে খেয়াল করে দেখলো একপাশে কাক আর একপাশে ময়না পাখি খাঁচায় বন্দি। অদ্ভুত বিষয় হলো কাকের সামনে খাবারের অভাব নাই কিন্তু ময়না পাখির সামনে কোন খাবার নাই।
দরিদ্র প্রজা বাদশার কাছে জানতে চাইলো, হিসাবে তো ময়না পাখির সামনে খাবার বেশি থাকার কথা কিন্তু ময়না পাখির সামনে কোন খাবার নাই আর কাকের সামনে প্রচুর খাবার এরকম ব্যতিক্রম হওয়ার রহস্য কি?
বাদশা বলল, কাকের কা কা ডাক শুনলে মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়। কাকের সামনে খাবার না থাকলে ডাকাডাকি করে। তাই সবসময়ই কাকের সামনে প্রচুর খাবার রাখা হয় যেন কা কা না করে। পক্ষান্তরে ময়না পাখির ডাক আমার খুব ভাল লাগে। যদি পর্যাপ্ত পরিমান খবার দেওয়া হয় তবে ময়না পাখি ডাকে না। তাই ময়না পাখিকে খাবার কম দেওয়া হয়, মাঝে মাঝে অভুক্ত রাখা হয় এতে ময়না পাখি প্রচুর ডাকাডাকি করে, যে ডাক শুনে মনে শান্তি পাই।
ঠিক তেমনি সব বাদশার বাদশা মহান আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের সব সময়ই কোন না কোন পেরেশানিতে রাখেন যেন সব সময়ই তাঁকে ডাকেন, যে ডাক মহান আল্লাহ তায়ালা শুনতে চান। পক্ষান্তরে যারা মহান আল্লাহ্তালার নাফরমানিতে ব্যস্ত, যাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে। তাদের এই দুনিয়াতে, দুনিয়ার নাজ-নিয়ামত দ্বারা এতটাই ব্যস্ত করে রাখছে যে আল্লাহ তায়ালাকে ডাকার মত সময় তাদের হয় না।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
অবশ্যই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। যখন তাঁরা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে,” নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।” (সূরা বাকারা:১৫৫-১৫৬)
মুফাসসিরদের মতে, আল্লাহর রং ধারণ করার অর্থ আল্লাহর দ্বিনকে আঁকড়ে ধরা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।