সকালের কুমিল্লা ডেস্ক।।
নারিকেল বেচাকেনার জন্য বেশ পরিচিত ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিলোনিয়া বাজার। বিভিন্ন সাইজ ও জাতের নারিকেল মেলে এখানে। বাজারে বেশি দেখা যায় স্থানীয় জাতের নারিকেল। নারিকেলের ছোবড়াকে আঁশজাত করে তৈরি হচ্ছে রশি, ঝাড়ু, পাপোশ, কার্পেট, সিট ও গদি। তেল ছাড়াও নারিকেল থেকে তৈরি পাউডার ব্যবহৃত হয় বিস্কুট, লজেন্স, সন্দেশ ও লাড়ু তৈরিতে। যা থেকে আয় হয় প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। মালা দিয়ে তৈরি হয় ব্যাটারির কার্বন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, যোগাযোগ সুবিধার কারণে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে সিলোনিয়া বাজার থেকে নারিকেল কিনে নিয়ে যান। নারিকেলের সাইজ অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে। এখানে প্রতি জোড়া নারিকেল সাইজ অনুযায়ী ১০০-১৩০ টাকায় বিক্রি হয়। ভালো দামের আশায় বিক্রেতারা সিলোনিয়া বাজারে নিয়ে আসেন তাদের উৎপাদিত নারিকেল। প্রতি সপ্তাহে ২০-২৫ হাজার নারিকেল বিক্রি হয় এই হাটে। যার আনুমানিক মূল্য ৯-১১ লাখ টাকা। প্রচুর জনসমাগমের কারণে সিলোনিয়া বাজারের অন্যান্য ব্যবসারও উন্নতি হচ্ছে।
চট্টগ্রামের বারইয়ার হাট থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ী খালেক মিয়া বলেন, যোগাযোগ সুবিধার কারণে ও প্রচুর নারিকেলের সমাগম হওয়ায় এখান থেকে নারিকেল কিনে নিয়ে যাই। প্রতি হাটে সিলোনিয়া বাজার থেকে ১০-১৫ হাজার নারিকেল কেনেন আমিরগাঁও গ্রামের ব্যবসায়ী আহছান উল্লাহ। তিনি বলেন, নারিকেলের জন্য সিলোনিয়া বাজারটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখানে অনেক নারিকেল আসে।
ওমরাবাদ এলাকার আবদুল আজিজ বলেন, ‘আমি ২০ বছর বয়স থেকে নারিকেল গাছ রোপণ ও পরিচর্যা করি। নারিকেল বিক্রি করে হাতে ভালো টাকা আসে।’ স্থানীয় জায়লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলন বলেন, যোগাযোগ সুবিধা ও প্রাচীন বাজার হিসেবে সিলোনিয়ার ব্যাপক নামডাক রয়েছে। ফলে নারিকেল ব্যবসার সঙ্গে অন্যান্য ব্যবসাও এখানে জমজমাট।