এবিএস ফরহাদ,কুবি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগ ও শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন তুলে নেওয়ার পর এবার দুই ছাত্রলীগ নেতার বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত সোমবার (২০মার্চ) সন্ধ্যায় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অফিস আদেশ সূত্রে জানা যায়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দুই ছাত্রলীগ নেতার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করা হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, কর্তব্য পালনে বাধা, শিক্ষককে হেনস্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সালমান চৌধুরী হৃদয় এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ কে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এরমধ্যে এনায়েত উল্লাহ শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক ও সালমান চৌধুরী যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসান উল্যাহকে আহ্বায়ক এবং নিরাপত্তা শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদারকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্য হলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দ্বন্ধ থামাতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে হেনস্থা শিকার হয় দাবি করে অভিযোগ দায়ের করে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত। তারই প্রেক্ষিতে গত ৭ মার্চ সাময়িক বহিষ্কার করা হয় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে। পরের দিন ৮ মার্চ দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করে বহিরাগতসহ ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের কয়েকজন নেতা।
এ ঘটনায় ৯ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার, প্রক্টরের অপসারণ, বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাচঁ দফা দাবিতে ১০দিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পর গত রবিবার আমরণ অনশনে বসে সাময়িক বহিষ্কৃত দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ সাত শিক্ষার্থী। পরে প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে ২৩ ঘন্টা পর অনশন তুলে নেয় তারা। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্বাসের বাস্তবায়ন না হলে ফের কঠোর আন্দোলনে যাবার হুশিয়ার দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।