ডেস্ক নিউজ
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে হাজারো আইনজীবীর অংশগ্রহণে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আব্দুল মতিন খসরুর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশ নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
জানাজার আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরুর জীবনী পাঠ করেন ও আব্দুল মতিন খসরুর ছেলে মুনায়েম ওয়াসিফ তার বাবার জন্য দোয়া কামনা করেন।
জানাজা শেষে আব্দুল মতিন খসরুর মরদেহে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে আব্দুল মতিন খসরুর মরদেহ বহনকারী গাড়িটি কুমিল্লার উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে। হাজারো আইনজীবী অশ্রসিক্ত নয়নে তাদের প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানান।
বুধবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুল মতিন খসরু। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে আব্দুল মতিন খসরুকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে ১ এপ্রিল করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে। গত ৩ এপ্রিল তাকে সিএমএইচের আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ৬ এপ্রিল সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবার তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
গত ১২ মার্চের নির্বাচনে আব্দুল মতিন খসরু বিপুল ভোটে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর করোনা আক্রান্ত হন তিনি। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল মতিন খসরুর নেতৃত্বাধীন নতুন কমিটি দায়িত্ব বুঝে নেয়। ওই দিনই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে আব্দুল মতিন খসরুর নাম ফলক টাঙানো হয়। সেই কক্ষে তিনি বসতে পেরেছিলেন। কিন্তু তার আর বসা হলো না কক্ষে থাকা সভাপতির চেয়ারে।