ঢাকারবিবার , ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের ঢাকা
  4. আজকের রাশিফল
  5. আদর্শ সদর
  6. আমাদের পরিবার
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ইসলামী জীবন
  9. উদ্ভাবন
  10. করোনা
  11. কুমিল্লা
  12. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  13. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
  14. খুলনা
  15. খেলাধুলা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চান্দিনার মাধাইয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কলেজ অধ্যক্ষ সাময়িক বরখাস্ত

সাকিব আল হেলাল
ডিসেম্বর ৯, ২০২০ ৯:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

মো: মহিউদ্দিন সরকার।।

কুমিল্লার চান্দিনায় নারী কেলেঙ্কারী ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো মাধাইয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কলেজ অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেমকে।

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২২ নভেম্বর কলেজ পরিচালনা পর্ষদ সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন। তাকে বিধিমোতাবেক স্থায়ী চাকুরীচ্যুৎ করার জন্য গত ৪ ডিসেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ড. রেদোয়ান আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নূরুল ইসলাম। ঘটনার তদন্তের জন্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খানকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়- মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চান্দিনার মাধাইয়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কলেজ নামে ১৯৯৯ সালে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ২০০৪ সাল থেকে ওই কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান অধ্যক্ষ আবুল কাশেম। ২০১৩ সালে মাধাইয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কলেজের এক শিক্ষিকার সাথে দীর্ঘদিন পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অধ্যক্ষ আবুল কাশেম। এছাড়া কলেজের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় চাকুরী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ওই অধ্যক্ষকে।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নূরুল ইসলাম জানান- কলেজ শিক্ষিকার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ে করার বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ড. রেদোয়ান আহমেদ বেশ কয়েকবার সাবধান করেছিলেন। পরবর্তীতে কলেজের প্রায় ২৪ লাখ টাকার আত্মসাতের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। তদন্ত কমিটির তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্থায়ী বহিস্কার করা হবে।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম জানান- সম্পূর্ণ ঘটনা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি ২০১৩ সালে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ওই শিক্ষিকাকে বিয়ে করেছি। সাত বছর যাবৎ সংসার করছি। ৭ বছর পর বিয়ে করাকে অনৈতিক কাজ দাবী করছেন তারা। এছাড়া অর্থ আত্মসাতের বিষয়টিও ভিত্তিহীন। ষড়যন্ত্র করে আমাকে এক মাসের ছুটিতে পাঠিয়ে আমার অনুপস্থিতিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত ও অডিট করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বে-আইনি। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কানিজ আফরোজ জানান- বিষয়টি আমি জানতাম না। কলেজের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে রাখার পর বিষয়টি জেনেছি। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।