ঢাকাশনিবার , ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের ঢাকা
  4. আজকের রাশিফল
  5. আদর্শ সদর
  6. আমাদের পরিবার
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ইসলামী জীবন
  9. উদ্ভাবন
  10. করোনা
  11. কুমিল্লা
  12. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  13. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
  14. খুলনা
  15. খেলাধুলা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুমিল্লার হলুদ পদ্মের নাম ‘গোমতী’__ঢাবি অধ্যাপক

admin
ডিসেম্বর ১৯, ২০২০ ৫:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

news-image স্টাফ রিপোর্টার
গবেষকেরা কুমিল্লার ওই হলুদ পদ্মের নাম দিয়েছেন ‘গোমতী’। গোমতী নদীর প্লাবনভূমিতে এটি জন্মানোর কারণে এই নাম। এশীয় পদ্মের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Nelumbo nucifera। এই হলুদ পদ্মের বৈজ্ঞানিক নামের সঙ্গে  gomoti, Bangladesh   শব্দ দুটি যোগ হবে।

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে পাওয়া হলুদ পদ্মের রহস্যের জট অবশেষে খুলেছে। বাংলাদেশ তো বটেই, এশিয়া অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের কোথাও হলুদ পদ্মের কোনো প্রজাতি নেই। প্রশান্ত মহাসাগরের এক পাশে দেখা যাওয়া সাদা ও গোলাপি রঙের পদ্মটিকে এশীয় পদ্ম বলা হয়। আর উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় দেখা যাওয়া হলুদ রঙের পদ্মটিকে আমেরিকান পদ্ম নামে ডাকা হয়। তাই তো কুমিল্লায় বুড়িচংয়ে পাওয়া হলুদ পদ্ম নিয়ে দেশের উদ্ভিদবিজ্ঞানী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। তাহলে কি আমেরিকান পদ্ম কোনোভাবে বাংলাদেশে বংশবিস্তার করল?

গত সেপ্টেম্বরে ওই হলুদ পদ্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের একদল শিক্ষক তাতে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। তাঁরা কুমিল্লার গোমতী নদীতে জন্মানো ওই পদ্ম নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। এর নমুনা সংগ্রহ করে তা নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর তাঁরা নিশ্চিত হন, এটি আমেরিকান পদ্ম নয়। বিজ্ঞানীদের দলটি বলছেন, এটি আসলে এশীয় পদ্মেরই একটি নতুন প্রকরণ বা ধরন, যা বাংলাদেশেই প্রথম দেখা গেল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল হাসানের নেতৃত্বে একই বিভাগের অধ্যাপক আল মুজাদ্দেদ আলফাসানী ও অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন ওই পদ্ম চিহ্নিত করার গবেষণাটি করেন। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব প্ল্যান্ট টেক্সোনমির বিজ্ঞান সাময়িকী প্ল্যান্ট টেক্সন এর ডিসেম্বর ২০২০ সংখ্যায় এ ব্যাপারে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গবেষক দলটি ওই হলুদ পদ্মের নাম দিয়েছেন ‘গোমতী’। গোমতী নদীর প্লাবনভূমিতে এটি জন্মানোর কারণে এই নাম। এশীয় পদ্মের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Nelumbo nucifera। এই হলুদ পদ্মের বৈজ্ঞানিক নামের সঙ্গে  gomoti, Bangladesh শব্দ দুটি যোগ হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গবেষক দলটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি এশীয় পদ্মের একটি প্রকরণ।

গবেষক দলটির অন্যতম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আল মুজাদ্দেদ আলফাসানী আজকের কুমিল্লাকে বলেন, “প্রাকৃতিকভাবেই পদ্মের এই নতুন প্রকরণ তৈরি হয়েছে। এটা এশিয়ান পদ্মের মতোই, তবে গঠনগত কিছু পার্থক্য আছে। আমেরিকান হলুদ পদ্মের সঙ্গে এর অমিল অনেক বেশি।”

গবেষক দলটি বলছেন, কোনো একটি উদ্ভিদের একটি থেকে আরেকটি প্রজাতির ফুল, কাণ্ড, পাতা, পুংকেশর, স্ত্রীকেশর, পরাগরেণুসহ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকে। একটির সঙ্গে আরেকটি মিল অমিলের ধরনের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, সেটি কি কোন প্রজাতি, নাকি একটি প্রকরণ?
বিজ্ঞানীরা ধানের উদাহরণ দিয়ে বলছেন, যেমন ধান নিজে একটি স্বতন্ত্র প্রজাতি। কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে এবং মানুষের গবেষণার মাধ্যমে ধানের হাজার হাজার প্রকরণ তৈরি হয়েছে। একটি প্রকরণ থেকে আরেকটি প্রকরণের পার্থক্য সামান্য; কিছু গাছ, ফল, দানাসহ অন্য সবকিছুই প্রায় একই রকমের। যেমন বাংলাদেশে যে এশীয় পদ্মটি দেখা যায়, তা একটি প্রকরণ, কিন্তু দুটি রঙের হয়ে থাকে। পদ্মের দুটো প্রজাতি ও দুই হাজারের মতো প্রকরণ রয়েছে।

তবে দেশের উদ্ভিদ শ্রেণিবিদ্যার জনক হিসেবে চিহ্নিত অধ্যাপক সালার খান তাঁর এক প্রবন্ধে বাংলাদেশে হলদু রঙের পদ্ম আছে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি কোথায় আছে, তা তিনি উল্লেখ করে যাননি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।