ফারুক আজম।।
করোনা মহামারীতে বিপর্যস্থ বিশ্ব। এখনো বিশ্বের অনেক উন্নত রাষ্ট্রে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করতে পারে নি। বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বিশ্বের অনেক উন্নত রাষ্ট্র টিকা পাবার পূর্বেই বাংলাদেশ টিকা আনতে সক্ষম হয়।
দেশে ২৭ জানুয়ারী টিকা প্রয়োগ করার পর,সারা দেশে আগামী ৭ জানুয়ারী থেকে টিকা প্রয়োগ করা হবে।এরই অংশ হিসেবে জেলা পর্যায়ে করোনার টিকার চাহিদা অনুযায়ী ধাপে ধাপে ভ্যাকসিন পৌছে দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে
কুমিল্লাতেও দেশের বিভিন্ন জেলার মতো পৌঁছেছে করোনাভাইরাসের টিকা।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের টিকাবাহী বিশেষ পিকআপ ভ্যান করে গতকাল ভোরে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কোল্ড স্টোরেজে সেগুলো রাখা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাইদ।
সিভিল সার্জন নিয়াতুজ্জামান জানান, কুমিল্লা জেলার জন্য ১ লাখ ৩৪ হাজার ১২৫ জনের জন্য টিকার চাহিদা উত্থাপন করা হয়। জনপ্রতি দুটি করে ২ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ টিকা চাওয়া হয়। চাহিদা অনুযায়ী ১২০০ ভায়ালের (প্রতি ভায়ালে ১০ ডোজ) ২৪ কার্টন টিকা এসেছে জেলায়।
নিয়াতুজ্জামান বলেন, পূর্ণ নিরাপত্তায় রোববার ভোরে আমরা ভ্যাকসিনগুলো গ্রহণ করেছি।আগামী ৭/৮ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিক ভাবে কুমিল্লায় করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।খুব দ্রুত সভা করে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করব।
‘এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ,পুলিশের প্রতিনিধি,সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তাগনসহ ভ্যাকসিন রিসিভ কমিটির সবাই উপস্থিত ছিলেন।’
সিভিল সার্জন জানান, আপাতত জেলা সদর হাসপাতাল, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সিএমএইচ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিটি করপোরেশনের জন্য নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টিকা দেয়ার বুথ বসানো হবে।
টিকা দেয়ার জন্য রোববার থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং এরপর পর্যায়ক্রমে নার্স ও কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এর মধ্যেই শুরু হবে টিকাদান কার্যক্রম।
প্রথম ধাপে প্রয়োগের জন্য গত ২৫ জানুয়ারি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের পাঠানো ৫০ লাখ টিকা দেশে আসে। এর আগে ২১ জানুয়ারী ভারত সরকারের দেয়া ২০ লাখ টিকা আসে উপহার হিসেবে।গত ২৭ জানুয়ারী প্রথম টিকা প্রয়োগ করা হয়।