ঢাকারবিবার , ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের ঢাকা
  4. আজকের রাশিফল
  5. আদর্শ সদর
  6. আমাদের পরিবার
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ইসলামী জীবন
  9. উদ্ভাবন
  10. করোনা
  11. কুমিল্লা
  12. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  13. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
  14. খুলনা
  15. খেলাধুলা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুমিল্লার বরুড়া ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া কাজ হয় না বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ মাসের পর মাস দৌড়াতে হচ্ছে ভুক্তভোগী

Edited by_Sakib al Helal
মার্চ ৮, ২০২১ ৩:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বরুড়ায় জমি খারিজের সহস্রাধিক আবেদন ঝুলছে সহকারি কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে। সিটিজেন চার্টারে ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে আবেদনের সুরাহা করার কথা থাকলেও বাস্তবে ৪ মাস থেকে একবছর পর্যন্ত ঘুরেও সমাধান পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। বিপাকে পড়েছেন জমির মালিকরা। থমকে আছে সরকারের রাজস্ব আয়।

সরজমিনে ঘুরে ও সহকারি কমিশনারের কার্যালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ক্রয়কৃত ও যৌথ মালিকানার কোন সম্পত্তি নাম খারিজ ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় হয় না। তাই পুর্বের তুলনায় নাম খারিজের আবেদনের সংখ্যা বেশী। এছাড়া নামের ভুল, পরিমানের গড়মিল, দাগের ভুল সংশোধন করতেও মাসের পর মাস অপেক্ষা করে সমাধান না হওয়ায় বিপাকে রয়েছেন জমির মালিকেরা। বরুড়ায় গত দু্ই বছরেরও অধিক সময় ধরে খুবই ধীর গতিতে চলছে নাম খারিজের কাজ। এতে করে ফাইল ঝটলা বেধেঁছে উপজেলা সহকারি কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে। স্থানীয় ভাবে চাপে রয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দায়িত্বে নিয়োজিত উপসহকারি ভূমি কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা ছোট চাকরি করি, অনেক বিষয়ে জানলেও বলতে পারি না। তবে সম্প্রতি আমাদের নাম খারিজের নথির কাজ চলছে খুবই ধীর গতিতে। বর্তমান সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাহিদা ‍সুলতানা বরুড়ায় যোগদানের পর থেকেই জমি খারিজের এই ধীরগতি বলে জানিয়েছেন একাধিক সূত্র।

ভুক্তভোগীরা জানায়, নাম খারিজের কাজ বন্ধ থাকায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। ঋণ পরিশোধ, জরূরী চিকিৎসা, বিদেশ যাওয়া ও ব্যবসা-বাণিজ্য আটকে যাচ্ছে। টাকার অভাবে অনেক কৃষকের চলমান চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সুদের গেরাকলে ফেঁসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বরুড়ার আড্ডা ইউনিয়নের এক প্রবাসী বলেন, ২০২০ সালের মার্চ মাসে ভিটে বাড়ি খতিয়ান থেকে নাম খারিজের আবেদন করেছিলেন। দুইবার ছুটিতে এসে ঘুরে ঘুরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাহিদা ‍সুলতানার সাথে দেখা করেও ওই আবেদনের কোন ফয়সালা পাননি তিনি।

গত কোরবানির ঈদের আগে নাম খারিজের আবেদন করে আদৌ কোন সমাধান পাননি আমির হোসেন নামের আরেক জমির মালিক। আবেদনের ৫ মাস পর খারিজ না পেয়ে হতাশ হয়ে বিদেশ চলেগেছেন আরেক প্রবাসি মো: মোজাম্মেল হোসেন। টুটুল চৌধুরী নামের এক খারিজ গ্রহিতা বলেন, আবেদন করেছি দুই মাসেরও বেশি সময় হয়েছে, এখনও আবেদন গ্রহনের মেসেজ পাইনি। উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের আবুল কাসেম তার নামের ভুল ঠিক করেতে আবেদন করে গত দেই বছরেও সমাধান পায়নি বলে অভিযোগ করে বলেন, টাকা ছাড়া একটা কাজও করেনা উপজেলা ভূমি অফিস। আব্দুল ওয়াদুদ নামের একজন বলেন, আমি টাকা দিয়েও খারিজ পচ্ছিনা। আনোয়ার হোসেন নামের একজন বলেন, অভিযোগ করলে আরও হয়রানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই কিছু বলবোনা। এমন আরও অসংখ্য অভিযোগ করেন, মো: জহিরুল ইসলম, সাজিম উদ্দীন, লিটন প্রধান।

বরুড়া উপজেলা দলিল লেখক সমিতির দায়িত্বশীল এক সদস্য বলেন, গত ১-দেড় বছরে নাম খারিজ নিস্পত্তির পরিমাণ খুবই কম। তিন সহস্রাধিক আবেদন আটকে আছে। ঘটনাটি অতীতের অনেক রেকর্ডকে পেছনে ফেলেছে। মানুষ অনেক হয়রানি ও কষ্টের মধ্যে আছে। অনেক গুরূত্বপূর্ণ কাজ করতে পারছে না। খারিজ ছাড়া দলিলও হয় না। সরকার রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।

অভিযোগ রয়েছে, সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাহিদা ‍সুলতানা দপ্তরের দরজার সামনে প্রায়ই লেখা থাকে তিনি মিটিংয়ে, ভ্রাম্যমান আদালতে অথবা প্রশিক্ষণে আছেন। যে সময়টুকু তার দাপ্তরে থাকেন সে সময়ের প্রায়ই ফোনে কথা বলে সময় পার করেন।

বরুড়ার সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাহিদা ‍সুলতানাকে তার মোবাইল ফোনে এ বিশয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘আমি সাংবাদিকদের কোনো তথ্য দিতে বাধ্যনা’ বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।