অনলাইন ডেস্ক।।
গতকাল ১০ মার্চ ( বুধবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে খন্দকার আবু তালহা স্মৃতি সাহসিকতা পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠান প্রথমবারের মত আয়োজন করা হয়।
প্রথম ‘খন্দকার আবু তালহা স্মৃতি সাহসীকতা পুরস্কার’ বিজয়ী প্রথম আলোর জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান -এর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জিং ও সাহসিকতাপূর্ণ সাংবাদিকতায় (প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া) উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতে খন্দকার আবু তালহা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ যৌথভাবে এ বছর থেকে প্রবর্তন করেছে ‘খন্দকার আবু তালহা স্মৃতি সাহসিকতা পুরস্কার’।
চ্যালেঞ্জিং ও সাহসিকতাপূর্ণ সাংবাদিকতার (প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক) স্বীকৃতি স্বরুপ একজন সাংবাদিককে ‘খন্দকার আবু তালহা স্মৃতি সাহসীকতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয় যার আর্থিক মূল্য নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং সাথে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট। জুড়ি বোর্ডের রায়ে প্রথম খন্দকার আবু তালহা স্মৃতি সাহসিকতা পুরস্কার’ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেন প্রথম আলোর জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, মিডিয়া গবেষক, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার আবু তালহা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রয়াত খন্দকার আবু তালহার বাবা আবু রিয়াজ মোঃ নূরুদ্দিন খন্দকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক এ এম এম হামিদুর রহমান, স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান, জনসংযোগ বিভাগের ঊর্ধ্বতন সহকারি পরিচালক মোঃ আনোয়ার হাবিব কাজল ও খন্দকার আবু তালহা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন-এর পরিচালক ডা. মোঃ ইকবাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ড. তৌফিক এলাহী এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রভাষক রাশেদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, মিডিয়া গবেষক, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহাৎ, গর্বের ও সাহসিকতার অনন্য পেশা। শত বাঁধা বিপত্তি, চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি মোকাবেলা করেই একজন সাংবাদিককে সত্য বের করে আনতে হয়। তার সর্বশেষ প্রাপ্তি হচ্ছে তিনি একজন সফল মানুষ হিসেবে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত তালহার বাবা বলেন, সাংবাদিকদের অব্যাহত অনুসন্ধিৎসু ভূমিকার জন্যই তালহার প্রকৃত হত্যা রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনেও ‘খন্দকার আবু তালহা স্মৃতি সাহসিকতা পুরস্কার’ চ্যালেঞ্জিং ও সাহসিকতাপূর্ণ সাংবাদিকতায় অবদান রাখতে সাংবাদিকদের অনুপ্রাণিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর রাজধানীর টিকাটুলির বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে কে এম দাস লেনে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে এক স্কুল শিক্ষিকাকে বাচাঁতে গিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে প্রকাশ্য দিবালোকে নিহত হন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী খন্দকার আবু তালহা। তার এ বীরোচিত আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখতেই খন্দকার আবু তালহা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ যৌথভাবে এ বছর থেকে এ পুরস্কার প্রবর্তন করছে।
অন্যদিকে খন্দকার আবু তালহা তার এ বীরোচিত আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরুপ ২০১৭ সালে “ফারাজ হোসেন সাহসিকতা পুরস্কার” অর্জন করে।