সাকিব আল হেলাল।।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ৩নং উঃ খোশবাস ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ রুবেল হোসেন (৩০) মোসাঃ হাঁসি বেগম(২৪) ও নিরব(৪) নামে তার স্ত্রী ও সন্তানকে ঢাকার কাকরাইলের এক বস্তিতে কুপিয়ে খুন করে পালিয়েছে বলে জানা যায়।
স্থাণীয়সূত্রে জানা যায়,রুবেল হাঁসিকে প্রেম করে বিয়ে করে।তা নিয়ে পিতা মাতার সাথে ঝামেলা হলে বাবা-মায়ের সাথে কয়েক বছর পূর্বে সম্পর্ক ছিন্ন করে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে সে রাজমিস্ত্রির কাজ করে।
তার স্ত্রীর পরোকিয়া প্রেমের কারনে স্বামী -স্ত্রী’র সাথে মনোমালিন্য ছিলো।এ নিয়ে স্বামী স্ত্রী’র মাঝে প্রায় ঝগড়া হতো।রুবেল মাদকাসক্ত ছিলো বলে জানা যায়।সোমবার রাতের কোন এক সময়ে স্বামী স্ত্রী’র মাঝে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রুবেল তার স্ত্রী সন্তানকে খুন করে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তাদের লাঁশ বরুড়ার ৩নং উঃ খোশবাস ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহতের আত্নীয় স্বজনদের দাবি, স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করে লাঁশ ইট ও ভারী পাথর দিয়ে পার্শবর্তী ডোবায় ফেলে দেয় স্বামী রুবেল।
এক সপ্তাহ আগে স্ত্রী হাঁসি রাজধানীর কাকরাইল বস্তিতে বসবাসকারী বাবা মায়ের কাছে চলে আসেন।
সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে হাসিকে দেখতে রুবেল আসেন।
সোমবার রাতেই ঝগড়ার এক পর্যায়ে প্রথমে স্ত্রী হাঁসিকে পরে তার শিশু পুত্র নীরবকে হত্যা করে রুবেল।পরে স্ত্রী সন্তানের লাঁশের সাথে পাথর বেঁধে পার্শবর্তী ডোবায় ফেলে দেন।
মঙ্গলবার সকালে রুবেল নিজেই শশুড় বাড়ির লোকজনকে ফোন করে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে রুবেলের এক নিকটাত্মীয় জানান,রুবেল অমানুষ হয়ে গেছে।সে নেশাগ্রস্থ। কয়েক বছর পূর্বে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে যায়।বাবা মায়ের সাথে কোন যোগাযোগ নাই।সে অন্যায় করে থাকলে অবশ্যই তার বিচার হওয়া দরকার। তবে তার নিরীহ পিতা-মাতা যেন হয়রানীর শিকার না হয় সে ব্যাপারে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি”।
বনানী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম জানান,পারিবারিক কলহের জের থেকেই স্বামী তার স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করেছে।তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান চলছে।নিহত দুইজনের লাঁশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে”।