সাকিব আল হেলাল।।
কুমিল্লার বরুড়ার আবদুল্লাহ আল আদিত্য তানিম(১১) নামে পঞ্চম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে অপহরনের পর এক লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে।পরে বরুড়া থানা পুলিশ অপহরনকারিসহ শিশু তানিমকে দাউদকান্দি থেকে উদ্ধার করেছে।

শিশু তানিম বরুড়া উপজেলার পুরান কদবা(সর্দার বাড়ি) গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
সোমবান(১৮ এপ্রিল) সকালে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল্লাহ আল আদিত্য তানিম বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় তানিমের পিতা মোঃ আনোয়ার হোসেন, বরুড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন।
পরের দিন নিখোঁজ শিশু তানিমের বড় চাচা সুলাতান আহম্মেদের মোবাইলে ফোন করিয়া এক ব্যক্তি জানায়, আদিত্য তাহার হেফাজতে আছে। তখন নিখোঁজ শিশুর চাচা আদিত্যের সাথে কথা বলিতে চাহিলে সে আদিত্যের সাথে কথা না বলাইয়া বিভিন্ন রকম তালবাহানা করিলে তার বিষয়টি বিশ্বাস হয় নাই।
পরে ২২ এপ্রিল নিখোঁজ শিশু তানিমের বড় চাচা উক্ত ব্যক্তির নাম্বারে ফোন করিয়া নিশ্চিত হওয়ার জন্য তানিমের সাথে কথা বলিতে চাহিলে ঐ ব্যক্তি নিখোঁজ শিশুর মায়ের সাথে ফোনে কথা বলাইয়া দেয় এবং এক লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। তখন তাহারা নিশ্চিত হয় যে,তানিমকে ঐ ব্যক্তিই অপহরন করিয়াছে।
বিষয়টি ২২ এপ্রিল বরুড়া থানা পুলিশ অবগত হওয়ার সাথে সাথে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল বাহার মজুমদারের দিক নির্দেশনায় মুক্তিপন দাবীকারীর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ আহম্মেদ সঙ্গীয় এসআই বিশ্বজিৎ পাল, এসআই মেহেদী হাসান ও অন্যান্য সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে দাউদকান্দি থানাধীন গৌরিপুর সুবল আফতাব হাই স্কুল মাঠ হইতে অপহরনকারী আবু ইউসুফ(১৯)কে গ্রেফতার করা হয় এবং তাহার হেফাজত হইতে অপহৃত ছেলে শিশু আব্দুল্লাহ আল আদিত্য তানিম (১১) কে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে অপহৃত ছেলে শিশু তানিম ও অপহরনকারী আবু ইউসুফকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত ১৮ এপ্রিল সকাল ৯টায় বরুড়া বাজারস্থ ইসলামী ব্যাংক গলির মাথা সংলগ্ন অটোরিক্সা স্ট্যান্ড হতে অপহরনকারী আবু ইউসুফ শিশু তানিমকে টার্গেট করে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখাইয়া কৌশলে একটি সিএনজি চালিত যাত্রীবাহী অটোরিক্সায় উঠাইয়া পুদয়ার বাজার বিশ্বরোড এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখাইয়া গৌরিপুর এলাকায় নিয়া যায়। সেখানে অপহৃত শিশুকে নিয়ে গৌরিপুর বাজারস্থ একটি মসজিদে রাত্রিযাপন করে। অপহরনকারী অপহৃত ছেলে শিশুকে ভাতিজা পরিচয় দিয়ে কৌশলে দিনের বেলায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করিতো এবং রাতে বিভিন্ন মসজিদে অবস্থান করিতো।
এছাড়াও আসামী গত কিছুদিন পূর্বে সদর দক্ষিন থানা এলাকা হইতে একই কৌশলে একটি ছেলে শিশুকে অপহরন করিয়া ৩৫,০০০/-টাকা মুক্তিপনের বিনিময়ে ছেড়ে দেয় মর্মে বর্নিত অপহরনকারী জানায়।
এ বিষয়ে অপহরন ও মুক্তিপন আদায়ের উদ্দেশ্যে শিশুকে আটকের ঘটনায় বরুড়া থানার মামলা নং-০৮ তাং-২৩/০৪/২০২১ইং, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধীত/০৩) এর ৭/৮ রুজু করা হইয়াছে।
অপহরন কারী ইউসুফ নোয়াখালীর সেনবাগের ঠনার পাড় গ্রামের মোঃ ইসমাঈল হোসেনের ছেলে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।