ঢাকাশুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের ঢাকা
  4. আজকের রাশিফল
  5. আদর্শ সদর
  6. আমাদের পরিবার
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ইসলামী জীবন
  9. উদ্ভাবন
  10. করোনা
  11. কুমিল্লা
  12. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  13. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
  14. খুলনা
  15. খেলাধুলা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বর্হি বিভাগে রোগীদের থেকে আদায় করা অতিরিক্ত টাকা যাচ্ছে কোথায়?

Edited by_Sakib al Helal
মে ৩, ২০২১ ১:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ মিজানুর রহমান মিনু।। 
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্হি বিভাগের টিকেট নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারী আইন অনুযায়ী বর্হি বিভাগের টিকেটের মূল্য ৩ টাকা হলে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতি রোগী থেকে ৫ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে রোগীরা প্রতিবাদ করলেও হাসপাতালের দালাল ও স্টাফদের হাতে অপমান এবং লাঞ্চিত হতে হয়।
সাধারণ রোগীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার এ প্রতিবেদক রোগী সেজে হাজির হয় বর্হি বিভাগে। বেলা ১১.৪১টায় হাসপাতালের বর্হি বিভাগের কাউন্টারে গিয়ে নিজের নামে টিকেট কেটে ১০ টাকার নোট দেয়া হয়। পরে এ প্রতিবেদককে কাউন্টারের ওই স্টাফ ৫ টাকা ফেরত দেন। টাকা হাতে নিয়ে কাউন্টারে কর্তব্যরত স্টাফকে টিকেটের সরকারি মূল্য কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিকেটের মূল্য ৫ টাকা। বার বার জিজ্ঞেস করলেও তিনি বীরদর্পে উত্তর দেন টিকেটের মূল্য ৫ টাকাই। পরে ওই স্টাফের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে রূপম সেন নামে পরিচয় দেয় এবং বাড়ির চৌদ্দগ্রাম বাজারের পাশে চান্দিশকরা গ্রামে বলে জানায়। পরবর্তীতে এ প্রতিবেদক টিকেট হাতে নিয়ে হাজির হন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাঃ হাসিবুর রহমানের কার্যালয়ে। সেখানে বর্হি বিভাগের সরকারি টিকেটের মূল্য কত জানতে চাইলে ডাঃ হাসিবুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান-বর্হি বিভাগে সরকারি টিকেটের মূল্য ৩ টাকা। তাহলে আমার থেকে কিভাবে ৫ টাকা নেয়া হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন-কাউন্টারে ভাঙতি টাকা না থাকার কারণে ৫ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু স্টাফ রূপম সেন জানান, সরকারি টিকেটের মূল্য ৫ টাকা। এমন প্রশ্ন করতেই তিনি স্টাফ রূপম সেনকে তার কার্যালয়ে ডেকে আনেন। এ সময় রূপম সেন বলেন, আমি বলেছি টিকেটের মূল্য ৫ টাকা। তবে ভাঙতি না থাকার কথা বলিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হাসিবুর রহমান জানান, ভাঙতি টাকার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকে ধরনা দিয়েও টাকা পাচ্ছি না। ফলে রোগীদের থেকে ৫ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। উধ্বৃত্ত টাকা কার পকেটে যাচ্ছে-এ প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, হাসপাতালে অস্থায়ীভাবে একজন আয়া ও একজন অফিস স্টাফ নিয়োজিত রয়েছে। তাদেরকে মাসে ১০ হাজার টাকা করে দুইজনকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গড়ে ৫’শ-৬’শ রোগী বর্হি বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে থাকে। সে হিসেবে প্রতি রোগী থেকে অতিরিক্ত ২ টাকা হারে মাসে ৩৬ হাজার টাকার উর্ধ্বে আদায় করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, উর্ধ্বৃত্ত টাকার একটি অংশ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হাসিবুর রহমানকে ভাগ দিতে হয়। তাঁর ইশারা-ইঙ্গিতে প্রতিদিন রোগীদেরকে থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডাঃ হাসিবুর রহমানকে প্রশ্ন করা হলে-তিনি বলেন, আনিত অভিযোগ সত্য নয়। আমি বর্হি বিভাগে আদায়কৃত অতিরিক্ত টাকা হাসপাতালের বিভিন্ন কাজে ব্যয় করে থাকি।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন বলেন, ‘হাসপাতালে রোগীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে স্টাফদের বেতন দেয়ার কোন বিধান নেই। বর্হি বিভাগ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় এবং স্টাফদের বেতনের বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।