সকালের কুমিল্লা ডেস্ক।।
বরুড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র জন্য নতুন আবেদন ও সংশোধনে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে বরুড়া উপজেলা নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দীর্ঘ সারিতে গাধাগাধি করে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে আবেদনকারীদের।
জানা গেছে, করোনার টিকার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র আবশ্যক। এতে করে বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। সে কারনে তারা নতুন আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নির্বাচন অফিসের সহযোগীতা সন্তোষজনক সেবা না পাওয়ায় তারা দালালের কবলে পড়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি কার্ডের জন্য শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন, পিতা মাতার আইডি কার্ডের অনুলিপি জমা দিতে হয়। সে কারনে আইডি কার্ডের সংশোধনীর জন্য নির্বাচন অফিসে গেলে তাদেরকে সন্তোষজনক সহযোগীতা করা হয় না। সার্ভারের সমস্যার কথা বলে পাঠিয়ে দেন বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানে। এতে করে নারী, পুরুষ ও তরুনরাও দালালের কবলে পড়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া নির্বাচন অফিসে এ আবেদন করতে সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় না। একই কাজ বাহিরের কম্পিউটার দোকানে করতে গেলে গুনতে হয় অতিরক্ত টাকা, সাথে হচ্ছেন হয়রানি।
ভূক্তভোগী মহিউদ্দিন (২৬) বরুড়া উপজেলার শালুকিয়া গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে। তিনি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করেছিলেন। তিনি ছবি তোলার বিষয়ে জানতে গত ৫ দিন ধরে নির্বাচন অফিসে এসে হয়রানির শিকার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার ছবি তোলতে এসে তিনি এ সব অভিযোগ করেন।
নতুন আবেদন ও সংশোধনকারী ভুক্তভোগী মনির হোসেন, রাসেল, সাইফুল ইসলাম, আমির হোসেন, আমজাদ হোসেন, ইউনুছ, নাইম হোসেন, আলাউদ্দিন, মাসুদ প্রবাসী, মায়া আক্তার, ফারজানা আক্তার জানান, বাহিরে দালালরা ঘুরাঘুরি করছে। টাকা দিলে সিরিয়াল এগিয়ে দিচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই গত ৫ থেকে ৬ দিন ধরে, আবার কেউ কেউ ১০ থেকে ১২ দিন ধরেও এখানে এসে সহযোগীতা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রবাসী জানিয়েছেন দালালরা তাদেরকে দ্রুত কাজ করে দেওয়ার জন্য আশ্বস্ত করছে, বিনিময়ে গুনতে হবে ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা। এসব হয়রানির কথা গনমাধ্যমকর্মীদের ভূক্তভোগীরা জানান।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আজহারুল ইসলাম জানান, আমরা এক সঙ্গে দুই শত মানুষের ছবি তোলেছি। এতো মানুষকে এক সঙ্গে সেবা দিতে গিয়ে আমাদেরকে হিমশিম খেতে হয়েছে। আমার অর্বতমানে অফিস সহকারীদের কতৃক হয়রানির বিষয়টি অবগত নই। তবে সে বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করবো। এছাড়াও দালালের বিষয়ে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।