সাকিব আল হেলাল।।
কুমিল্লা বরুড়া আড্ডা ইউনিয়নের পশ্চিম অশ্বদিয়া গ্রামের উদ্যোক্তা রাজু আহমেদ মানিক এর মাচায় ঝুলে আছে শত শত হলুদ তরমুজ। উপরের আবরণ হলুদ হলেও ভেতরটা টকটকে লাল। নতুন জাতের এই হলুদ তরমুজ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। রসালো এই তরমুজ খেতে ও দারুণ সুস্বাদু। ফলন ও বেশ ভালো। প্রথমবারের মতো উন্নত জাতের এই হলুদ তরমুজ চাষে সফল হয়েছেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পশ্চিম অশ্বদিয়া গ্রামের উদ্যোক্তা রাজু আহমেদ মানিক।
উদ্যোক্তা রাজু আহমেদ মানিক দৈনিক যায়যায়দিন কে বলেন কক্সবাজারে আমি একটি কনফেকশনারী দোকান পরিচালনা করতাম। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে ৩ মাস আগে ৬০০০টাকা বাৎসরিক ভাড়ায় ৩২ শতাংশ জমিতে চাষ করি কালো ও হলুদ তরমুজ। আমার সর্বসাকুল্যে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকার মতো। মাসখানেক আগ থেকে বিক্রি শুরু করেছি এখন পর্যন্ত বিক্রি ১ লক্ষ টাকার উপরে। আল্লাহর রহমতে প্রথম বছরে আমার অনেক ভালো ফলন হয়েছে, আরো বেশি বিক্রি করতে পারতাম কিছু তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে।
বরুড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ইকরামুল হক জানান হলুদ তরমুজের ভেতরটা টকটকে লাল আর কালো তরমুজের ভেতরটা হলুদ, খেতেও বেশ সুস্বাদু।
প্রতিদিন বরুড়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত মানুষ আসছে নতুন জাতের হলুদ তরমুজ দেখতে। তারা বাগান ঘুরে ঘুরে দেখছেন এবং যাওয়ার সময় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য।