কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধার নামে এক মাস পর মামলা। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক পলাতক।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ জুন উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের কানাই নগর গ্রামে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক কাদিরকে (৫০) আসামী করে ২৬ জুলাই তিতাস থানায় একটি মামলা করেন, যার নং-১১।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ওই তারিখে সকাল সোয়া ৭ টায় শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী তার নিজ বাড়ির পিছনে পাকা রাস্তায় যাওয়ার সময় একই গ্রামের আব্দুল হাকিম এর নির্মাণাধীন ভবনের নিকট পৌছলে উক্ত ভবন নির্মাণের কন্ট্রাক্টর আব্দুল কাদির মোল্লা (৫০) প্রতিবন্ধীকে খাবারের জিনিসের লোভ দেখিয়ে ভবনের ভিতর নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিম কান্না করতে করতে বাড়িতে এসে তার মা ও চাচীকে বিষয়টি জানায়। পরে প্রতিবেশীরা কাদির মোল্লাকে আটক করে গাছের সাথে বেধে বেদম মারপিট করলে একপর্যায়ে ধর্ষক গ্রামবাসীর বিচার মানবে বলে অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে মারপিট থেকে নিজেকে আত্মরক্ষা করে এবং পরবর্তীতে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে ভিকটিমের বাবা জানান, গ্রামবাসী বিচার করে দিবে বলে আমাকে আশ্বাস দিয়েছিল কিন্তু কাদির পালিয়ে যাওয়ায় বিচার হয়নি, তাই মামলা করতে আমার দেরী হয়েছে।
এদিকে ওই গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মাওলা ও মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কাদিরকে আটক করে গাছের সাথে বেধে মারধর করছে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং কাদির বিচার মানার অঙ্গীকার করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে । এ সময় আমরাও স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করি। পরে কাদির পালিয়ে যাওয়ায় আর বিচার হয়নি।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে একজনকে আসামী করে মামলা করেছে। আমরা আসামীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত আছি।