সকালের কুমিল্লা ডেস্ক।।
কুমিল্লার চান্দিনায় মাদরাসাছাত্রী ছালমা আক্তারকে (১৪) গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার তিনদিন পর বাবা সোলাইমানকে (৪০) একই ভাবে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ভোর রাতে বের হলে তাকে গলাকেটে হত্যা চেষ্টা করা হয়। গত ১ অক্টোবর শুক্রবার রাতে তার মেয়েকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয় । এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৩ জনসহ ১০ জন নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে সোলাইমান। এই মামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ।
সোলাইমানের ছেলে ইউসুফ জানান,গতকাল রাত ১০ টা থেকে আমার বাবা নিখোঁজ ছিল। পরে থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়েও খুঁজে পান নি।আতন্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে আমাদের।সকালে খবর পাই পার্শ্ববর্তী পাড়ায় একজন রক্তাক্ত লোক পাওয়া গেছে। সেখানে গিয়ে দেখি সন্ত্রাসীরা ভোর রাতে বাবাকে গলা ও পা, পেট কেটে ফেলে রেখে গেছে। আমার বোনের খুনীদের এখনও গ্রেফতার করছে না পুলিশ, তারা শুধু তদন্ত করেই যাচ্ছে । আমাদের জীবনের কোন নিরাপত্তা নাই।
স্থানীয় মেম্বার মো.ইসমাইল জানান,খুনের ঘটনার পর এলাকায় আতন্ক বিরাজ করছে।যার ফলে সন্ধা নামতেই মানুষ ঘরে ডুকে যায়। সন্ত্রাসীরা দিনে এলাকায় আসে না। রাতে কখন এসে তাকে ধরে নিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে তা জানি না। সকালে গলা ও পা কাটা অবস্থায় পাই।
চান্দিনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, আহত অবস্থায় সোলাইমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওনি আশন্কামুক্ত আছেন।আমাদের অফিসাররাও সেখানে রয়েছে। আসামি গ্রেফতারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে ।