সকালের কুমিল্লা ডেস্ক।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কুড়াখাল গ্রামে জুম্মার আযান দেয়াকে কেন্দ্র করে মসজিদে মুসল্লীকে কু’পিয়ে হ’ত্যার ঘটনার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী জহির খাঁনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি বিশেষ টিম।
বুধবার রাতে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার কসবা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত জহির উপজেলার কুড়াখাল গ্রামের পইরন খাঁনের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানাধীন কুড়াখাল গ্রামের মুসল্লী হানিফ খান হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৪নাম্বার পলাতক আসামী জহির খান ব্রাহ্মনবাড়িয়ার কসবা এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাঙ্গরাবাজার থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি বিশেষ টিমের যৌথ অভিযানে বুধবার মধ্যরাতে কসবা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এই মামলায় এজাহার নামীয় আরো ৮ জন আসামী এখনো পলাতক রয়েছে এবং এজাহার নামীয় ১নাম্বার আসামী শাহিন ভূূইয়া কারাগারে রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাঙ্গরাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আসামী জসিমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। শুক্রবার সকালে তাকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হবে। মামলার তদন্তের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে। এই মামলার বাকী আসামীদেরও গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানাধীন কুড়াখাল গ্রামের বাইতুন নুর জামে মসজিদে জুম্মার আযান ভেতরে বাহিরে দেয়াকে কেন্দ্র করে রেজভী পন্থীরা সুন্নী মুসল্লীদের উপর দেশীয় অ’স্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এসময় হানিফ খান নামের এক মুসল্লী ঘটনাস্থলে নি’হত হয় এবং আরো ৭ জন আ’হত হয়। এঘটনায় নি’হতের স্ত্রী আফরোজা খাতুন বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে থানায় হ’ত্যা মামলা দায়ের করেন।